যুদ্ধবিধ্বস্ত এক পৃথিবীতে মানুষের টিকে থাকার গল্প নিয়ে নির্মিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দ্যা লাস্ট অফ আস’-এর দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। প্রথম সিজনের সাফল্যের পর, নতুন এই সিজনেও গল্প বলার ধরন এবং অভিনয়শৈলীর কারণে দর্শক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে সিরিজটি।
গল্পে ফিরে আসা যাক, যেখানে এক ভয়াবহ ছত্রাক সংক্রমণের কারণে পৃথিবীর বুকে নেমে আসে ধ্বংসযজ্ঞ।
সিরিজটির প্রধান চরিত্র জোয়েল (অভিনয়ে পেদ্রো পাস্কাল)। সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে, জোয়েলের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে মারা যায়।
এরপর, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আসা এক তরুণী এলির (অভিনয়ে বেলা রামসে) সাথে তার পথচলা শুরু হয়। এলির শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে, তাই তাকে নিয়ে শুরু হয় এক নতুন যাত্রা।
প্রথম সিজনের শেষে, জোয়েল এলিকে একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে, এলির জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
দ্বিতীয় সিজনের শুরুতে, আমরা দেখি জোয়েল এবং এলি, দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইমিং অঙ্গরাজ্যের একটি সুরক্ষিত শহর, জ্যাকসনে বসবাস করছে। এলির বয়স এখন ১৯ বছর।
জোয়েল সবসময় তার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তবে এলির চরিত্রে এখানে নতুন কিছু দিক দেখা যায়। সে বিদ্রোহী এবং নিজের জগৎ তৈরি করতে চায়।
এবারের সিজনের গল্প প্রথম সিজনের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। এখানে এলির আত্ম-অনুসন্ধান এবং নিজের পরিচয় খোঁজার বিষয়টি প্রধান হয়ে উঠেছে।
এই সময়ে তার জীবনে আসে দিনা (অভিনয়ে ইসাবেলা মার্সেড)। দিনা এলির খুব ভালো বন্ধু, এবং তাদের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
সিরিজে বেলা রামসের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এলির চরিত্রে তিনি এতটাই সাবলীল যে, দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন।
গল্পের গভীরতা এবং চরিত্রগুলোর শক্তিশালী অভিনয়ের কারণে, ‘দ্যা লাস্ট অফ আস’-এর দ্বিতীয় সিজন দর্শকদের জন্য একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।
সব মিলিয়ে, ‘দ্যা লাস্ট অফ আস’ একটি অসাধারণ সিরিজ, যা একইসঙ্গে মানুষের টিকে থাকার সংগ্রাম, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং ভালোবাসার গল্প বলে।
যারা অ্যাকশন, থ্রিলার এবং মানবিক গল্পের ভক্ত, তাদের জন্য এই সিরিজটি একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: The Guardian