টমাস টুখেলের প্রথম কাজ: হ্যারি কেইনকে খুঁজে বের করা।
ফুটবল বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইংল্যান্ডের নতুন কোচ টমাস টুখেল। তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো হ্যারি কেইনকে আবার স্বরূপে ফিরিয়ে আনা।
সম্প্রতি শেষ হওয়া ইউরো কাপে কেইনের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকের মতে, সাবেক কোচ সাউথগেটের ভুল রণকৌশলের কারণেই এমনটা হয়েছে।
এখন টুখেল চাচ্ছেন, কেইনকে সঠিক পজিশনে খেলিয়ে তাঁর সেরাটা বের করে আনতে।
টুখেল মূলত একজন কৌশলবিদ। বায়ার্ন মিউনিখে থাকাকালীন কেইনের সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তাই কিভাবে কেইনকে ব্যবহার করতে হবে, সেই বিষয়ে ধারণা তাঁর ভালোই আছে। টুখেলের মূল পরিকল্পনা হলো কেইনকে একজন ‘ডিপ-লাইং অ্যাটাকার’-এর ভূমিকায় খেলানো।
অর্থাৎ, কেইন আক্রমণভাগের গভীর থেকে খেলা তৈরি করবেন। এর সাথে উইংয়ে দ্রুত গতির খেলোয়াড় এবং মিডফিল্ডারদের দৌড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে।
বুকাও সাকা, মার্কাস রাশফোর্ডদের মতো খেলোয়াড়েরা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইংল্যান্ডে কেইনের ফর্ম নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে, তাঁর গতি কমে যাওয়ার বিষয়টি বেশ সমালোচিত হয়েছে।
তবে টুখেল মনে করেন, কেইনের আসল শক্তি হলো তাঁর পাসিং এবং খেলার ধরনে পরিবর্তন আনা।
বায়ার্নে খেলার সময় কেইনকে এই ভূমিকায় সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে তিনি গভীর থেকে খেলতেন এবং সতীর্থদের জন্য সুযোগ তৈরি করতেন।
টুখেলের মতে, কেইনকে তাঁর দুর্বলতাগুলো গোপন করার পরিবর্তে, তাঁর শক্তিশালী দিকগুলো কাজে লাগাতে হবে।
এর মাধ্যমে কেইন যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি দলের আক্রমণভাগেও নতুনত্ব আসবে। জুড বেলিংহাম এবং ফিল ফোডেনের মতো খেলোয়াড়দেরও এই সিস্টেমে মানিয়ে নিতে হবে।
ইংল্যান্ডের আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো ফল করতে হলে, টুখেলকে দ্রুত এই কৌশলগুলো কাজে লাগাতে হবে।
টুখেলের হাতে সময় খুব বেশি নেই। মাত্র ১৮ মাসের চুক্তিতে তিনি এসেছেন।
তাই দ্রুত দল তৈরি করা এবং কেইনকে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনা তাঁর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
টুখেলের এই নতুন পরিকল্পনা কতটা সফল হবে, সেটি সময়ই বলবে।
তবে ফুটবলপ্রেমীরা নিশ্চয়ই চাইবেন, কেইন আবার তাঁর সেরা ফর্মে ফিরুক এবং ইংল্যান্ডকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাক।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান