বক্স অফিসে আবারও বাজিমাত! ‘থান্ডারবোল্টস’ ও ‘সিনার্স’-এর জয়জয়কার

চলচ্চিত্রের বাজারে এখনো ‘থান্ডারবোল্টস’ ও ‘সিনার্স’-এর জয়জয়কার।

গত সপ্তাহের শেষেও উত্তর আমেরিকার সিনেমা বাজার ছিল বেশ সরগরম। মার্ভেল স্টুডিওজের ছবি ‘থান্ডারবোল্টস’ এবং রায়ান কুগলারের ছবি ‘সিনার্স’ এখনো পর্যন্ত দর্শকদের মন জয় করে চলেছে। সিনেমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিনেমাগুলোর গল্পের গভীরতা ও নির্মাণশৈলী দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রেক্ষাগৃহগুলো থেকে ‘থান্ডারবোল্টস’-এর আয় হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৩১ লক্ষ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা)। সিনেমাটি মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বেশ ভালো ব্যবসা করেছে।

আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সিনেমাটি যোগ করেছে আরও ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বব্যাপী মোট আয়কে ২৭২.২ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ২৮০০ কোটি টাকা) নিয়ে গেছে। সিনেমাটির ভালো ব্যবসার পেছনে মূল কারণ হলো দর্শকদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা।

সমালোচকদের মতে, সিনেমার গল্প বলার ধরন এবং অভিনয়শৈলী দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে।

অন্যদিকে, ‘সিনার্স’ সিনেমাটি মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহেও উত্তর আমেরিকায় ২১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২২০ কোটি টাকা) আয় করেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে সিনেমাটি ৬.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭০ কোটি টাকা) আয় করেছে, যা বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয়কে ২৮৩.৩ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ২৯০০ কোটি টাকা) পৌঁছে দিয়েছে।

সিনেমাটি এরই মধ্যে উত্তর আমেরিকায় টিকিট বিক্রি থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। দর্শকদের আগ্রহের কারণে সিনেমাটি আবার আইম্যাক্স (IMAX) পর্দায় প্রদর্শিত হবে।

এ সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া নতুন কিছু সিনেমা তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।

এর মধ্যে ‘ক্লাউন ইন এ কর্নফিল্ড’ সিনেমাটি প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) আয় করেছে। এছাড়া, কেরি ওয়াশিংটন ও জোয়েল এজগারটন অভিনীত ‘শ্যাডো ফোর্স’ এবং জোশ হার্টনেট-এর ‘ফ্লাইট অর ফাইট’ সিনেমাগুলোও মুক্তি পেয়েছে, তবে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।

চলতি বছরের সিনেমা ব্যবসার হিসাব-নিকাশ করলে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। তবে ২০১৯ সালের তুলনায় এখনো প্রায় ৩২ শতাংশ পিছিয়ে আছে।

আগামী সপ্তাহে ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’ মুক্তির মাধ্যমে সিনেমা বাজারে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও, আসছে গ্রীষ্মে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’ এর মতো বড় সিনেমাগুলো মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসের শীর্ষ ১০ সিনেমার তালিকা:

  1. ‘থান্ডারবোল্টস’: ৩ কোটি ৩১ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ৩,৫০০,০০০,০০০)
  2. ‘সিনার্স’: ২ কোটি ১১ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ২,২০০,০০০,০০০)
  3. ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’: ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ৮৪০,০০০,০০০)
  4. ‘দ্য অ্যাকাউন্ট্যান্ট ২’: ৬১ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ৬৪০,০০০,০০০)
  5. ‘ক্লাউন ইন এ কর্নফিল্ড’: ৩৭ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ৩৯০,০০০,০০০)
  6. ‘শ্যাডো ফোর্স’: ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ২১০,০০০,০০০)
  7. ‘ফ্লাইট অর ফাইট’: ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ২১০,০০০,০০০)
  8. ‘আনটিল ডন’: ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ২১০,০০০,০০০)
  9. ‘দ্য অ্যামেচার’: ১১ লক্ষ মার্কিন ডলার (BDT ১১৫,০০০,০০০)
  10. ‘দ্য কিং অফ কিংস’: ৬ লক্ষ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার (BDT ৭১,০০০,০০০)

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *