আতঙ্কের মুহূর্ত! বিমানবন্দরে বন্দুক নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা, অল্পের জন্য রক্ষা!

বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা, অল্পের জন্য রক্ষা।

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরের একটি ব্যস্ততম বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হয়েছে। তবে, দ্রুত পদক্ষেপের কারণে বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের মাধ্যমে এই হামলা প্রতিরোধের ঘটনা ঘটে।

আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে বিলি জো ক্যাগল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরের ভিতরে হামলার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বিষয়টি জানালে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

পুলিশ জানায়, ক্যাগল নামের ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরের ভেতরে হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছিলেন এবং ঘটনাটি লাইভস্ট্রিমিং করছিলেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তার সন্ধানে নামে।

পরে বিমানবন্দরের টিকিট কাউন্টারের কাছে সন্দেহভাজন ক্যাগলকে দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্যাগল একটি ‘এআর-১৫’ রাইফেল ও বেশ কিছু গুলি সহ বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিলেন।

আটলান্টা পুলিশ জানিয়েছে, তারা ক্যাগলের গাড়ি থেকে একটি ম্যাগাজিনসহ বেশ কয়েকটি গুলি উদ্ধার করেছে।

দ্রুত পদক্ষেপের কারণে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

আটলান্টা পুলিশ বিভাগের প্রধান ড্যারিন স্কিয়ারবাম

কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনায় ক্যাগলের পরিবারের সদস্যরা যে ভূমিকা রেখেছেন, তা বিশেষভাবে প্রশংসার যোগ্য। তাদের তৎপরতার কারণেই একটি সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের মত জনবহুল স্থানে নিরাপত্তা ঝুঁকি কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষ করে টিএসএ (TSA) কর্মকর্তাদের নজরদারির বাইরে থাকা জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আটককৃত ক্যাগলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকি, গুরুতর হামলার চেষ্টা, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার এবং পূর্বে অপরাধের রেকর্ড থাকার মত অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেরি শিয়াভো মনে করেন, বিমানবন্দরের বাইরের উন্মুক্ত স্থানগুলো এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।

যাত্রী এবং দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

লকডাউনের সময় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছিল। যা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছিল। এই ধরনের ব্যবস্থা ভবিষ্যতে আবারও নেওয়া যেতে পারে।

তবে, লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রাক্তন ফেডারেল নিরাপত্তা পরিচালক কিথ জেফ্রিস মনে করেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন প্রযুক্তির চেয়েও জরুরি হল জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতা বাড়ানো।

তিনি বলেন, আসন্ন ছুটির দিনগুলোতে বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সতর্ক থাকাটাও জরুরি। যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *