TikTok-এর ভবিষ্যৎ: কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম TikTok ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসতে পারে। জনপ্রিয় এই শর্ট-ফর্ম ভিডিও তৈরির অ্যাপটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে, যদি না এর মালিকানা পরিবর্তন করা হয়।
চীনের কোম্পানি ByteDance-কে এই প্ল্যাটফর্মের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম বিক্রি করতে হবে, না হয় আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে দেশটিতে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা দীর্ঘদিন ধরেই TikTok-এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। তাদের মতে, TikTok-এর মূল কোম্পানি চীনে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবহারকারীদের তথ্য চিনা সরকারের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর ফলে, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ঝুঁকির মুখে পড়বে, তেমনিভাবে চীনা সরকার এই অ্যাপের অ্যালগরিদম নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবহারকারীদের মতামত প্রভাবিত করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, TikTok-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। যদিও অনেক প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত, তবে এই প্ল্যাটফর্মের অনুগত ব্যবহারকারীদের জন্য কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, TikTok কেনার জন্য বেশ কয়েকজন আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম শোনা যাচ্ছে।
এদের মধ্যে রয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্সের সাবেক মালিক বিলিয়নেয়ার ফ্রাঙ্ক ম্যাককোর্ট এবং ‘শার্ক ট্যাঙ্ক’-এর পরিচিত বিনিয়োগকারী কেভিন ও’লেয়ারি। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার জিমি ডোনাল্ডসন (যিনি MrBeast নামে পরিচিত) এবং Employer.com-এর প্রতিষ্ঠাতা জেসি টিন্সলে-এর একটি দলও TikTok কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই বিষয়ে তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, TikTok-কে চালু রাখার জন্য তিনি একটি ডিল করতে চান।
ট্রাম্পের মতে, TikTok-এর বিক্রি প্রক্রিয়া সহজ করতে তিনি শুল্ক হ্রাসের মতো পদক্ষেপ নিতে পারেন।
তবে, এত আলোচনার মাঝেও, ৫ এপ্রিলের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স বলেছেন, “আমরা চাই, ৫ এপ্রিলের সময়সীমার মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হোক।” কিন্তু এখনো পর্যন্ত বাইটড্যান্স অথবা চীনা সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, যা ইঙ্গিত করে যে তারা বিক্রি করতে রাজি।
যদি কোনো চুক্তি না হয়, তবে TikTok ব্যবহারকারীদের জন্য কী ঘটবে? সম্ভবত, TikTok-কে আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
TikTok-এর প্রযুক্তিগত সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন Apple, Google এবং Oracle-কে তখন বড় ধরনের জরিমানার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
TikTok-এর পক্ষ থেকে এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় ট্রাম্পের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে, যখন TikTok পুনরায় চালু হয়েছিল, তখন ব্যবহারকারীদের জানানো হয়েছিল যে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই মুহূর্তে বাইটড্যান্সের জন্য হয়তো সময় খুব কম। যদি কোনো চুক্তি না হয়, তবে TikTok-এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তথ্য সূত্র: CNN