শিরোনাম: কিভাবে টিকটক-এ হাস্যরসের মাধ্যমে প্রতারণা ফাঁস করছেন এই কৌতুক অভিনেতা
বর্তমান ডিজিটাল যুগে, প্রতারণা যেন এক নিত্যদিনের সঙ্গী। অনলাইনে ভুয়া অফার থেকে শুরু করে, আকর্ষণীয় স্কিমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের কৌতুক অভিনেতা অ্যালেক্স ফ্যালকোন, তাঁর টিকটক চ্যানেলের মাধ্যমে হাসির মোড়কে তুলে ধরছেন বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও ব্যবসায়িক কারসাজি। তাঁর এই ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, এবং বর্তমানে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা অর্ধ লক্ষাধিক।
ফ্যালকোনের মূল আকর্ষণ তাঁর “ইজ ইট এ স্ক্যাম? ইয়েপ” (Is it a scam? Yep) শীর্ষক ভিডিও সিরিজ। এই সিরিজে তিনি স্বল্প সময়ে বিভিন্ন পণ্যের ভেতরের অসত্যতা, অথবা ব্যবসার আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রতারণাগুলো তুলে ধরেন।
তাঁর উপস্থাপনার ধরন এতটাই আকর্ষণীয় যে, অল্প সময়ের মধ্যেই তা দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
ফ্যালকোন জানিয়েছেন, তিনি সরাসরি সাংবাদিক নন, তবে তথ্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তাঁর আগ্রহ সাংবাদিকদের মতোই। তিনি সবসময় একটি জিনিসের গভীরে যেতে চান, এর পেছনের আসল সত্যটা উন্মোচন করতে চান।
তাঁর মতে, মানুষ সবসময়ই জানতে চায়, কীভাবে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
তাঁর এই ধরনের ভিডিও বানানোর পেছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। ফ্যালকোন মনে করেন, “সবাই জানে যে, তারা সবসময়ই কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।” বাজারে উপলব্ধ পণ্য ও সেবার আড়ালে থাকা ফাঁদগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করাই তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য।
উদাহরণস্বরূপ, তিনি ‘সাদা চকলেট’-এর মতো বিষয়গুলো কীভাবে একটি প্রতারণার অংশ, তা তুলে ধরেন।
তাঁর মতে, সাদা চকলেট আসলে কোনো চকলেট নয়, বরং এটি তৈরি করা হয় কোকো বাটার, পাম তেল এবং অন্যান্য উপাদান দিয়ে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ফ্যালকোনের মতে, “স্ক্যাম”-এর সংজ্ঞা পরিবর্তন করে তিনি প্রতিনিয়ত নতুন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) থেকে শুরু করে ক্রিপ্টোকারেন্সি, এমনকি সাধারণ পণ্যের ভেতরের প্রতারণাগুলোও তিনি তুলে ধরেন।
বর্তমানে, ফ্যালকোন প্রতিদিন অসংখ্য বার্তা পান, যেখানে মানুষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চায়।
তবে, তাঁর প্রধান অনুপ্রেরণা আসে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে।
টিকটকে প্রতারণা বিষয়ক ভিডিওর বাইরে, ফ্যালকোন বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কনটেন্ট তৈরি করেন।
তিনি মনে করেন, অ্যালগরিদমের ভালো দিকও রয়েছে। ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী কনটেন্ট দেখতে পারে।
এক্ষেত্রে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ফ্যালকোনের এই ধরনের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের দেশেও বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে।
ফ্যালকোনের এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম, মানুষকে প্রতারণা থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন