মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে, আর এই পরিস্থিতিতে মিনেসোটা রাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। সম্প্রতি তিনি রিপাবলিকান দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোতে সফর করছেন এবং বিভিন্ন আলোচনা সভায় অংশ নিচ্ছেন।
তাঁর এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ওয়ালজের এই সফরের মূল কারণ হলো, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের পরাজয়।
তিনি মনে করেন, দলের অনেক নেতাই এই পরাজয়ের গভীরতা উপলব্ধি করতে পারছেন না। ওয়ালজ আশঙ্কা করছেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশের জন্য ভালো নয়।
এছাড়া, উভয় দলের প্রতি জনগণের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ালজ বলেন, “আমাদের নেতৃত্ব হয়তো আকর্ষণীয় কোনো ডি.সি. নেতা দেবে না, তবে এমন একজন ব্যক্তি অবশ্যই থাকবে যিনি জনগণের কথা সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।”
ওয়ালজের মতে, ডেমোক্রেট ভোটাররা হতাশ, আতঙ্কিত এবং দলের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ। কারণ, তাঁরা এখনো ট্রাম্পকে মোকাবিলার জন্য ভালো কোনো উপায় খুঁজে বের করতে পারেননি।
ওয়ালজের এই সফরের উদ্দেশ্য হলো, রিপাবলিকান অধ্যুষিত এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনা, ডেমোক্রেটদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতি পরিকল্পনা তৈরি করা এবং সমাজে নতুন করে সংযোগ স্থাপন করা।
আগামী বছর গভর্নর হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি ওয়ালজ। তবে ট্রাম্পকে প্রতিহত করার জন্য তিনি নির্বাচনে লড়তে পারেন।
২০২৮ সালের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাকে সমর্থন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওয়ালজ।
ওয়ালজ মনে করেন, ট্রাম্পের ক্ষমতা বিস্তারের বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। তাঁর আশঙ্কা, ট্রাম্প হয়তো তাঁর কোনো ছেলেকে হোয়াইট হাউসের উত্তরাধিকারী বানানোর চেষ্টা করতে পারেন।
এমনকি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গ্রেপ্তারের মতো ঘটনাও ঘটাতে পারেন। ওয়ালজ আরও মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসও ট্রাম্পের সমালোচনা করতে ভয় পাচ্ছেন।
কারণ, ট্রাম্পের ক্ষমতার দৌরাত্ম্য কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তা নিয়ে তিনিও শঙ্কিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওয়ালজের এই সফর এবং তাঁর দেওয়া বক্তব্য আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, তিনি হয়তো ২০২৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তথ্য সূত্র: সিএনএন
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			