মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এক ব্যক্তির ভুলবশত এল সালভাদরে ফেরত পাঠানোর ঘটনা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার বিষয়। কিলার আরমান্দো অ্যাব্রেগো গার্সিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিলেও ট্রাম্প প্রশাসনের আপিলের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট আপাতত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবি উঠেছে, কারণ গার্সিয়ার পরিবার জানায়, তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।
আর্মিয়া ও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে পরিচিত কিলমার আরমান্দো অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে গতমাসে ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’র কারণে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হলেও, পরিবার ও আইনজীবীরা তা অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালে অভিবাসন আদালত গার্সিয়াকে এল সালভাদরে ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দেয়, কারণ তার পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলার হুমকি ছিল। এরপরেও তাকে দেশটির কুখ্যাত কারাগারে পাঠানো হয়, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ১২ই মার্চ, যখন গার্সিয়াকে একটি নির্মাণ সাইট থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। এরপর ১৫ই মার্চ তাকে এল সালভাদরের একটি কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে কুখ্যাত গ্যাং সদস্যদের রাখা হয়।
গার্সিয়ার স্ত্রী জেনিফার ভাসকুয়েজ সুরা জানান, তার স্বামীর নির্বাসনের কারণে তাদের পরিবারের উপর গভীর প্রভাব পড়েছে। তিনি জানান, তার সন্তানদের বাবা হারানোর শোক সহ্য করতে হচ্ছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ৪ঠা এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসনকে গার্সিয়াকে ৭ই এপ্রিলের মধ্যে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়। তবে, সরকারের আপিলের পর সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এই বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির জন্য সময় চেয়েছেন।
এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন গার্সিয়ার পরিবার। তারা তাদের প্রিয়জনের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি এবং আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে এখন সবার দৃষ্টি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।