ম্যামোগ্রাম করতে ভুলে যাওয়াতেই স্তন ক্যান্সার! জানালেন টিনা নোলস

বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী বিয়ন্সের মা, টিনা নোলস, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর কিভাবে তা জয় করেছেন, সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। গত বছর জুলাই মাসে, তিনি জানতে পারেন যে তার বাঁ স্তনে প্রথম পর্যায়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে।

নিয়মিত ম্যামোগ্রাম পরীক্ষার কথা ভুলে যাওয়ার কারণেই রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায়নি বলে তিনি জানান।

টিনা নোলস সম্প্রতি ‘ম্যাট্রিয়ার্ক’ (Matriarch) নামে তার নতুন আত্মজীবনী লেখার কাজ শেষ করেছেন। বইটিতে তিনি তার জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

তিনি জানান, সাধারণত তিনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তবে, অন্যান্য নারীদের জন্য এতে কিছু শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে বলেই তিনি মনে করেন।

“আমার মনে হয় নারীরা অনেক সময় তাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা ভুলে যায়। কিন্তু এটা করা অত্যন্ত জরুরি।

যদি আমি সময় মতো পরীক্ষা না করাতাম, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো,” তিনি বলেন।

টিনা জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে তার ম্যামোগ্রাম পরীক্ষার সময়সূচী বাতিল করা হয়েছিল। এরপর তিনি ভেবেছিলেন তার পরীক্ষা করানো হয়ে গেছে। কিন্তু আসলে তা হয়নি।

বইতে টিনা তার দুই মেয়ে, বিয়ন্সে এবং সোলাঞ্জের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে লিখেছেন। বিয়ন্সে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলেন এবং মায়ের চিকিৎসার জন্য সবসময় পাশে ছিলেন।

অন্যদিকে, সোলাঞ্জ বলেছিলেন, “আমরা এর যত্ন নেব।” টিনার বোনঝি অ্যাঞ্জি এবং বিয়ন্সের বন্ধু, ডেস্টিনি’স চাইল্ডের সদস্য কেলি রওল্যান্ডও তাকে সমর্থন জুগিয়েছিলেন।

টিনা তার বইয়ে লিখেছেন, “আমার মেয়েরা আমার দল হয়ে উঠেছিল।

তিনি আরও জানান, ম্যামোগ্রাম নিয়মিত করালে হয়তো তার ক্যান্সার আরও প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ত। বর্তমানে তিনি ক্যান্সার মুক্ত এবং ঈশ্বরের অশেষ রহমতে তিনি সুস্থ জীবন যাপন করছেন।

এখন তিনি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করছেন এবং কিছুটা ওজনও কমিয়েছেন।

টিনার এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝতে পারি, স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো প্রতিটি নারীর জন্য অপরিহার্য।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *