বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী, বিয়ন্সে-র মা, টিনা নোলস, ডেস্টিনি’স চাইল্ড-এর প্রথম মিউজিক ভিডিও তৈরির সময় এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
১৯৯৭ সালে ‘নো, নো, নো (পার্ট ২)’ গানের ভিডিও তৈরির সময়, মেয়ের চুলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান কম পরে যাওয়ায় তিনি নিজের চুল কেটে সেই অভাব পূরণ করেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী ‘ম্যাট্রিয়ার্ক’-এ টিনা এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে মিউজিক ভিডিওর শুটিং চলাকালীন সময়ে, বিয়ন্সে-র লুক পরিপূর্ণ করতে প্রয়োজন ছিল কিছু বিশেষ হেয়ার-স্টাইলের।
টিনা নোলস ছিলেন সেই দলের হেয়ার স্টাইলিস্ট। বিয়ন্সের রূপসজ্জার জন্য প্রয়োজন ছিল কিছু সোনালী হাইলাইটস।
টিনার নিজের চুলে হালকা সোনালী রং করা ছিল, কিন্তু মেয়ের জন্য পর্যাপ্ত উপাদান ছিল না।
ঘটনার দিন, মেকআপ আর্টিস্ট ক্রিস মালডোনাডো এবং এরিক ফেরেল-এর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়।
তাঁরা টিনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিলেন, কারণ পরিচালক ড্যারেন গ্রান্ট-এর বান্ধবী নাকি দলের হেয়ার স্টাইলিস্ট হিসেবে কাজ করার কথা ছিল।
টিনা বিষয়টি বুঝতে পেরে কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি।
বিয়ন্সের যখন সোনালী হাইলাইটস দরকার, তখন দেখা যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ উপাদান নেই।
টিনার মনে হয়, বিয়ন্সে হয়তো এতে হতাশ হবেন।
কিন্তু মা হিসেবে তিনি মেয়ের জন্য কিছু করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।
তখনি তিনি নিজের চুলের দিকে তাকান এবং কাঁচি দিয়ে নিজের চুল থেকে কিছু সোনালী হাইলাইটস কেটে নেন, যা দিয়ে মেয়ের চুলের কাজটি সম্পন্ন করেন।
পরে অবশ্য মেকআপ আর্টিস্টরা তাঁদের ভুল বুঝতে পারেন এবং টিনার কাছে ক্ষমা চান।
তাঁরা জানান, বিয়ন্সের মা বলেই হয়তো তিনি এমনটা করতে পেরেছেন, অন্য কোনো হেয়ার স্টাইলিস্ট হলে এমনটা করতেন না।
মা এবং মেয়ের এই দৃঢ় সম্পর্কের কথা সবাই বুঝতে পারে।
‘নো, নো, নো (পার্ট ২)’ ডেস্টিনি’স চাইল্ড-এর ক্যারিয়ারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গান ছিল।
১৯৯৭ সালে প্রকাশিত এই গানটি বিলবোর্ড হট ১০০-এ ৩ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিল এবং আরএন্ডবি/হিপ-হপ গানের চার্টেও শীর্ষে ছিল।
টিনা নোলসের আত্মজীবনী ‘ম্যাট্রিয়ার্ক’-এ এই ধরনের আরও অনেক অজানা গল্প রয়েছে, যা পাঠকদের মুগ্ধ করবে।
তথ্য সূত্র: পিপল