যুক্তরাষ্ট্রের একজন পরিচিত রিয়েলিটি তারকা টড ক্রিসলি এবং তাঁর স্ত্রী জুলি ক্রিসলি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা ছিল, যার কারণে তাঁদের কারাবাস করতে হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন টড ক্রিসলি।
এবিসি নিউজ স্টুডিও’র ‘দ্য ক্রিসলিস: লাইফ আফটার লকআপ’ নামক একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে কারাবাসের প্রথম রাতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে টড জানান, কারাগারে প্রথম রাতে তিনি ঈশ্বরের প্রতি খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি ঈশ্বরের উপর রেগে গিয়েছিলাম। যখন আমি ঘুমোতে গেলাম, লাইট বন্ধ হওয়ার পরে, আমি কেঁদেছিলাম এবং ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন তিনি এটা হতে দিলেন?”
কারাগারে থাকাকালীন সময়ে স্বাধীনতা কতটা মূল্যবান, তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে সাধারণ সুযোগ-সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হতে হয়। যেমন, গির্জায় যাওয়া, বাইরে খাবার খাওয়া অথবা নিজের বিছানায় সারাদিন কাটানো—এসবের সুযোগ থাকে না।
মুক্তির পর যখন মানুষ আবার সেই স্বাধীনতা ফিরে পায়, তখন সেটি একটি আশীর্বাদস্বরূপ মনে হয়।
অন্যদিকে, জুলি ক্রিসলি তাঁর কারাবাসের সময় পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে ছেলে-মেয়ে এবং স্বামীর অভাব অনুভব করেছেন। তিনি বলেন, “আমি জন্মদিন, ছুটির দিন এবং গ্র্যাজুয়েশন—এমন অনেক কিছুই মিস করেছি, যা আর কখনও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
এখন আমার সামনের দিকে তাকিয়ে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।”
২০১৯ সালে একটি ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরির মাধ্যমে ক্রিসলি দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের দুজনকে প্রথমে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে তাঁদের সাজা প্রায় দুই বছর করে কমানো হয়।
তাঁরা তাঁদের নির্দোষ দাবি করে আপিল করেছিলেন, যদিও টডের সাজা বহাল ছিল। তবে জুলির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় তাঁর সাজা বাতিল করা হয়।
কারামুক্ত হওয়ার পর টড ক্রিসলি এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি জানান, এই মামলাটিতে তাঁদের অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “ক্ষমা পাওয়ার পরেও, আমি এমন একটি কাজের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছি যা আমি করিনি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “লজ্জা একটি ক্যান্সারের মতো, যা ছড়িয়ে পরে। আমার কোনো লজ্জা নেই।”
ক্রিসলি দম্পতি বর্তমানে ‘দ্য ক্রিসলিস: লাইফ আফটার লকআপ’ নামক একটি ডকুমেন্টারিতে তাঁদের কারাজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন, যা বর্তমানে ‘হুলু’ এবং ‘ডিজনি প্লাস’-এ দেখা যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপল