ছোট্ট ছেলের চুল কাটার সিদ্ধান্তে মা কাঁদলেন! হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনা

অস্ট্রেলিয়ার একটি মায়ের চোখে জল, কারণ তার তিন বছর বয়সী ছেলে, অস্কার, অবশেষে তার লম্বা চুল কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যখন অস্কার চুল কাটার জন্য সেলুনে যায়।

মা, কেটি বান্টন, ছেলের এই পরিবর্তনে একদিকে যেমন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন, তেমনি অন্যদিকে ভবিষ্যতের দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার অনুভূতিও অনুভব করেন।

অস্কারের লম্বা চুলের সঙ্গে তার শৈশব জড়িত ছিল। বান্টন জানান, তিনি কখনোই চাননি অস্কারের চুল কাটা হোক।

কারণ, তার কাছে ছেলের এই লম্বা চুলগুলো ছিল তার ‘শিশুকাল’-এর প্রতীক। কিন্তু ছেলের ইচ্ছের কাছে নতিস্বীকার করতে হয় তাকে।

বান্টন মনে করেন, সম্ভবত অন্যদের কথায় কান দিয়ে অথবা ছেলে হিসেবে পরিচিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই অস্কার এমনটা চেয়েছিল।

আসলে, বাইরের জগতে অনেকেই অস্কারকে মেয়ে মনে করত। বান্টন বলেন, “অনেকেই আমাকে বলতেন, ‘আপনার মেয়ের বয়স কত?’ অথবা ‘ওহ, কি সুন্দর মেয়ে’।”

এতে তার কোনো সমস্যা না হলেও, ছেলের মনে যে এটা প্রভাব ফেলেছিল, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।

চুল কাটার পর যখন অস্কারকে আয়নার সামনে হাসতে দেখা যায়, তখন বান্টন বুঝতে পারেন, ছেলের এই সিদ্ধান্ত তাকে কতটা আনন্দ দিয়েছে।

বান্টন জানান, “চুল কাটার পর সারাদিন তার মুখে হাসি ছিল। সে বারবার আয়নার দিকে তাকাচ্ছিল।

এটা দেখে আমাদের মনে হয়েছিল, ছেলের ইচ্ছাকে সম্মান জানানোই সঠিক ছিল।”

তবে, তিন বছর বয়সী শিশুদের মন তো চঞ্চল। বান্টন বলেন, “চুল কাটার কয়েক দিন পরই সে আবার বলতে শুরু করে, ‘আমি আবার আমার লম্বা চুল চাই’।”

শিশুদের এই পরিবর্তনশীল মানসিকতা যেন শৈশবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বান্টনের জন্য, এই ঘটনাটি ছিল শুধুমাত্র একটি চুল কাটার চেয়ে অনেক বেশি কিছু।

এটি ছিল তার সন্তানের ‘শিশুকাল’ থেকে ‘কৈশোরে’ পদার্পণের প্রতীক, যা একইসঙ্গে আনন্দ এবং বেদনার জন্ম দেয়।

বান্টন বলেন, “আমি প্রস্তুত ছিলাম না এই পরিবর্তনের জন্য।

এটা ছিল আবেগপূর্ণ একটা মুহূর্ত, যখন বুঝলাম, তারা বড় হচ্ছে এবং তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।”

বান্টনের এই অভিজ্ঞতা টিকটকে শেয়ার করার পর অনেকে তার প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছিল, প্রত্যেক মা-ই তার সন্তানের প্রথম বড় চুল কাটার সময় কাঁদে। কিন্তু এই ভিডিওর নেতিবাচক মন্তব্যের পর মনে হচ্ছে, আমি ভুল ছিলাম।”

সমালোচনা সত্ত্বেও, বান্টনের এই ভিডিও মা ও সন্তানের সম্পর্কের গভীরতা এবং শৈশবের বিভিন্ন আবেগপূর্ণ মুহূর্তের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *