আলোচিত: টনি মরিসনের জীবন ও কাজ!

বাংলার সাহিত্য জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, টনি মরিসন। তাঁর গভীর জীবনবোধ আর বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ লেখনীর জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এবার এই কিংবদন্তী সাহিত্যিকের কাজ নিয়ে আসছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং লেখক নামওয়ালি সেরপেল।

তাঁর নতুন বই ‘অন মরিসন’ (On Morrison)-এ টনি মরিসনের সাহিত্যকর্ম নতুন করে আলোচনার আলো ফেলবে।

টনি মরিসন, যিনি ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন, তাঁর লেখনীতে সমাজের গভীর ক্ষতগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।

তাঁর লেখা ‘বিলাভড’, ‘দ্য ব্লুয়েস্ট আই’, ‘সঙ অফ সলোমন’, ‘সুলা’ এবং ‘জ্যাজ’-এর মতো উপন্যাসগুলো আজও পাঠককে নাড়া দেয়। শুধু উপন্যাস নয়, মরিসনের সমালোচনা, নাটক এবং কবিতাতেও ছিল জীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি।

সেরপেলের এই বইটি মূলত মরিসনের কাজের ওপর আলোকপাত করবে।

নামওয়ালি সেরপেল নিজে একজন খ্যাতিমান লেখক।

তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ওল্ড ড্রিফট’-এর জন্য তিনি ‘আনিসফিল্ড-উলফ বুক অ্যাওয়ার্ড’, ‘আর্থার সি ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস’-এর ‘আর্ট সেইডেনবাম অ্যাওয়ার্ড ফর ফার্স্ট ফিকশন’ জয় করেন।

তাঁর আরও দুটি উপন্যাস, ‘দ্য ফিউরোজ’ ও ‘স্ট্রেঞ্জার ফেসিস’ ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল।

প্রকাশ্যে আসা খবর অনুযায়ী, ‘অন মরিসন’ বইটিতে টনি মরিসনের সাহিত্যকর্ম নতুনভাবে বিশ্লেষণের সুযোগ থাকবে।

বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে সেরপেল বলেছেন, “মরিসনের জগৎ-এ নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত করতে পারাটা আমার জন্য আনন্দের ছিল। তাঁর সম্পর্কে, সাহিত্য সম্পর্কে এবং সর্বোপরি আমার নিজের সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানতে পেরেছি।”

টনি মরিসন শুধু একজন লেখক ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া এক সাহসী মানুষ। বর্ণবাদ, নারী নির্যাতন এবং প্রান্তিক মানুষের জীবন নিয়ে তাঁর লেখাগুলো আজও প্রাসঙ্গিক।

তিনি যেমনটা বলেছিলেন, “আমরা জন্মাই এবং আমাদের একদিন মরতে হবে। এর মাঝে এমন কিছু করতে হবে যা তুমি সম্মান করতে পারো।”

মরিসন দীর্ঘদিন র‍্যান্ডম হাউসে সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।

সেখানে তিনি ছিলেন কোম্পানির ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী সম্পাদক। তাঁর কাজ এবং জীবন, দুটোই বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক বিশাল অনুপ্রেরণা।

‘অন মরিসন’ বইটি প্রকাশিত হলে, পাঠকেরা টনি মরিসনের সাহিত্যকর্মকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবে।

বইটি আগামী ২০২৬ সালের ২৭শে জানুয়ারি প্রকাশিত হবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *