বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য, নিহত অন্তত ২৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও ভয়াবহ ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কেন্টাকি, মিসৌরি ও ভার্জিনিয়াতে। সংবাদ সংস্থা এপি, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং এনবিসি নিউজের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার (১৬ই মে) থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সপ্তাহান্তে আরও তীব্র আকার ধারণ করে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি হারিয়ে বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
কেন্টাকিতে সবচেয়ে বেশি ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঝড়ে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
গভর্নর নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রাজ্যের জনগণের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিসৌরিতে ঝড়ের কারণে ৭ জন এবং ভার্জিনিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লন্ডনের বাসিন্দা ক্রিস্টি পার্কার জানিয়েছেন, তিনি এবং তার পরিবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের বাড়িটি ঘূর্ণিঝড়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (NWS) সোমবার (১৯শে মে) কেন্দ্রীয় এবং দক্ষিণাঞ্চলের সমভূমি এবং ওজার্ক অঞ্চলে আবারও ভয়াবহ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, যেখানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুতি আরও দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) জানিয়েছে, তারা তাদের কর্মীদের কয়েকশ কর্মীকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে।
এছাড়াও, ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA) ঘূর্ণিঝড় মৌসুম শুরুর আগে জরুরি ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল