টরন্টোর বিমানবন্দরে একটি বিমান দুর্ঘটনার পর অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তির সাহসিকতা ও অভিজ্ঞতার গল্প সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ফেব্রুয়ারী মাসে মিনিয়াপোলিস থেকে আসা ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট টরন্টোতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
সৌভাগ্যবশত, বিমানের সকল যাত্রী, প্রায় ৮০ জন, অক্ষত অবস্থায় বিমান থেকে বের হতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর, পেশাদার কন্টেন্ট নির্মাতা এবং স্কিয়ার পিট কভক তার অভিজ্ঞতার একটি ভিডিও ধারণ করেন, যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে যাত্রী এবং ক্রু’দের নিরাপদে বেরিয়ে আসার দৃশ্য। কভকের এই ভিডিওটি দুর্ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবগত করে এবং একইসঙ্গে যাত্রীদের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে তাদের সৌভাগ্যকেও তুলে ধরে।
একজন স্কিয়ার হিসেবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় কভকের পক্ষে এই ধরনের পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকা সম্ভব হয়েছিল। কভক জানান, পরিস্থিতি তার কাছে এতটাই স্বাভাবিক ছিল যে, ভিডিও ধারণ করার সিদ্ধান্তটি তিনি তাৎক্ষণিকভাবেই নিয়েছিলেন।
তার মতে, একজন স্কিয়ার হিসেবে তিনি প্রায়শই এমন পরিস্থিতিতে কাজ করেন যেখানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং সবকিছু দ্রুত গুছিয়ে নিতে হয়। যদিও দুর্ঘটনার পর তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন, তবে তার ভেতরের কন্টেন্ট নির্মাতা সত্তা দ্রুতই পরিস্থিতি সামাল দেয়।
দুর্ঘটনার পর তিনি টরন্টোতে একটি স্কিইং ম্যাগাজিনের জন্য কাজ করতে এসেছিলেন, কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে আহত হওয়ায় তাকে দ্রুত ডেনভারে ফিরে যেতে হয়। দুর্ঘটনার পর তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আকাশপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আগের মতো নাও থাকতে পারে।
তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেলাধুলার অভ্যাস তাকে মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। কভক মনে করেন, অপ্রত্যাশিত ঘটনার মোকাবিলা করার ক্ষমতা তার মধ্যে সবসময় ছিল এবং এই অভিজ্ঞতা তাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
কভকের মতে, জীবনের ঝুঁকিগুলোই তাকে আনন্দ দেয়। স্কিইংয়ের মতো খেলাধুলাগুলোতেও অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্ভবনা থাকে। তিনি বলেন, “আমি হয়তো স্বাভাবিকভাবে মারা যেতে পারতাম, তবে সেটি হয়নি।
এই অনুভূতিটা কেমন, তা আমি জানি না। তবে আমি কৃতজ্ঞ। তথ্য সূত্র: সিএনএন