টটেনহ্যামের হতাশাজনক পরিস্থিতি: লেভির বক্তব্যে ক্ষোভ!

টটেনহ্যাম হটস্পারের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, ক্লাবের আয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে, তবে লোকসান কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা তাদের সামর্থ্যের বাইরে কোনো খরচ করতে রাজি নয়।

দলের পারফর্ম্যান্স এবং খেলোয়াড় কেনা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে, যে কারণে আবারও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সোমবার টটেনহ্যাম কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৫২৮.২ মিলিয়ন পাউন্ডে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কম।

ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন না করার কারণে ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত আয়ের পরিমাণও কমেছে, যা প্রায় ১০৫.৮ মিলিয়ন পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে। তবে, আগের বছরের তুলনায় লোকসানের পরিমাণ কমেছে, যা প্রায় ২৬.২ মিলিয়ন পাউন্ড।

ক্লাবের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি জানিয়েছেন, বর্তমানে দলের পারফর্ম্যান্স বেশ চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রিমিয়ার লিগে তারা ১৪তম স্থানে রয়েছে।

তবে, তিনি ইউরোপা লিগে ভালো ফল করার ব্যাপারে আশাবাদী। তার মতে, এই টুর্নামেন্ট জিতলে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে, যা ক্লাবের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টটেনহ্যামের মাঠের বাইরের আয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে লেভি বলেন, তারা তাদের আয়ের সঙ্গতি রেখেই খেলোয়াড়দের দলভুক্ত করার চেষ্টা করছেন।

তিনি আরও জানান, নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার পর থেকে তারা খেলোয়াড় কেনার পেছনে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি খরচ করেছেন।

অনেক সমর্থক আরও বেশি অর্থ খরচ করার দাবি জানালেও, লেভি মনে করেন, ক্লাবের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে হিসাব করে খরচ করতে হবে।

এদিকে, দলের খারাপ পারফর্ম্যান্স এবং খেলোয়াড় কেনা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে ক্লাবটির সমর্থকরা বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ‘চেঞ্জ ফর টটেনহ্যাম’ নামের একটি সমর্থক গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা আগামী রবিবার সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচের সময় প্রতিবাদ জানাবেন।

এর আগে, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলার সময়ও তারা বিক্ষোভ করেছিল।

আর্থিক হিসাব অনুযায়ী, টটেনহ্যাম বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনী ক্লাবের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে।

আয়ের ৪২ শতাংশ তারা খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ খরচ করে, যা শীর্ষ ১০ ক্লাবের মধ্যে সর্বনিম্ন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *