বিখ্যাত কমেডিয়ান ও অভিনেতা ট্রেসি মরগান, যিনি সম্প্রতি একটি বাস্কেটবল খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনা তাঁর জীবনের কঠিন দিনগুলোর কথা আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
নিউইয়র্কের দরিদ্র এলাকা থেকে উঠে আসা এই তারকার জীবন সবসময় মসৃণ ছিল না। মাদক, অপরাধ আর দারিদ্র্যের মধ্যে তাঁর বেড়ে ওঠা।
ছোটবেলার কঠিন দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে মরগান জানান, বন্ধুদের অকাল মৃত্যু তাঁকে এখনো কষ্ট দেয়। তাঁর কথায়, “আমি যখন সাফল্যের শিখরে, তখন বন্ধুদের হারানোর কষ্ট আমাকে তাড়া করে ফেরে।”
বাবার কাছ থেকেই তিনি হাসির জগতে এসেছিলেন। তাঁর বাবা ভিয়েতনামে থাকাকালীন কমেডি করতেন। বাবার অভিনয় শৈলী অনুসরণ করেই তিনি এই অঙ্গনে এসেছেন।
ট্রেসি মরগান জানান, পরিবারের খরচ চালানোর জন্য তিনি স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি যদি পড়াশোনা চালিয়ে যেতাম, হয়তো কোনো সাধারণ চাকরি করতে বাধ্য হতাম।
স্কুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন তিনি। ডায়াবেটিসের কারণে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়।
অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেও অনেকবার স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগেছেন। একবার তিনি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন যে, তাঁর পায়ের একটি অংশ কেটে ফেলারও সম্ভবনা দেখা দেয়।
২০১৪ সালে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছিলেন মরগান। এই দুর্ঘটনায় তাঁর বন্ধু ও গুরু জেমস ‘জিমি ম্যাক’ ম্যাকনাইয়ার নিহত হন।
কোমা থেকে ফিরে আসার পর, তিনি যখন আবার হাঁটা শিখছিলেন, তখন তাঁর ১৪ মাসের মেয়েও হাঁটতে শুরু করে। এই অভিজ্ঞতাকে তিনি তাঁর কমেডি পরিবেশনার বিষয় করেছেন।
হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে জীবনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার এক অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে ট্রেসি মরগানের। তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন