পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে, শরীরের বিভিন্ন অংশে ট্যাটু আঁকার প্রবণতা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। সম্প্রতি, কোমরের নিচের দিকে ট্যাটু, যা কিছু ক্ষেত্রে ‘ট্রাম্প স্ট্যাম্প’ নামে পরিচিত, সেই ধরনের ট্যাটুর জনপ্রিয়তা আবারও বাড়ছে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুর দিকে এই ধরনের ট্যাটুর বেশ চল ছিল। ফ্যাশন এবং সৌন্দর্যের জগতে, এই ট্যাটুগুলোর জনপ্রিয়তাও একটি চক্র অনুসরণ করে, এমনটাই মনে করেন অনেকে।
নিউ ইয়র্ক শহরের একজন ট্যাটু শিল্পী, যিনি ‘ফিফথ নট সিক্সথ’ নামে পরিচিত, তিনি জানান, “সাধারণত, যারা ট্যাটু করান, তাদের বেশিরভাগই ২০-এর কোঠার শুরুতে। তাই, ট্যাটুর প্রবণতা মূলত তরুণ প্রজন্মের রুচির ওপর নির্ভরশীল।”
আমার মনে হয়, সম্প্রতি ‘ট্রাম্প স্ট্যাম্প’-এর চাহিদা বেড়েছে। কোনো কিছু অতিরিক্ত হয়ে গেলে, তা একসময় ‘আনকুল’ হয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর, সেই জিনিসটাই আবার নতুন করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
তবে, এই বিষয়ে ভিন্নমতও রয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস, টেক্সাস এবং নিউ ইয়র্কে কাজ করা শিল্পী জোস কন্ট্রেরাস মনে করেন, “আমার মনে হয় না, লোয়ার ব্যাক ট্যাটুর তেমন একটা প্রত্যাবর্তন হয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে এর জনপ্রিয়তা বাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, এই পৃথিবীতে সবকিছুই একটা চক্রের মতো।”
আগেকার দিনের উপজাতীয় নকশার পরিবর্তে এখনকার ট্যাটুগুলোতে জলরঙের বা হালকা রঙের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মনে করেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় মানুষ যে এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা অনুভব করেছিল, তার ফলস্বরূপও এই ধরনের ট্যাটুর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।
অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন, ‘ট্রাম্প স্ট্যাম্প’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করা নিয়েও এখন অনেকের মধ্যে দ্বিধা নেই।
ওহাইও-র ট্যাটু শিল্পী হানা হান জানিয়েছেন, “আমি দেখেছি, অনেক তরুণী এখন এই ধরনের ট্যাটু করাতে আগ্রহী। আমিও ভবিষ্যতে এটি করানোর পরিকল্পনা করছি।”
আগে ‘ট্রাম্প স্ট্যাম্প’ শব্দটা খারাপ অর্থে ব্যবহৃত হলেও, এখন অনেকে তেমনটা মনে করেন না।
তবে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ট্যাটুর ধারণাটি বেশ ভিন্ন।
এখানে শরীরের দৃশ্যমান স্থানে ট্যাটু করাকে অনেক সময় নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কারণে, ট্যাটুর বিষয়ে মানুষের মধ্যে ভিন্ন ধারণা থাকতে পারে।
তাই, এই ধরনের পশ্চিমা প্রবণতা সম্পর্কে অবগত থাকা ভালো, তবে এটিকে সরাসরি গ্রহণ করার আগে আমাদের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল