ঝড়ে ওড়া ট্রাম্পোলিনের তাণ্ডব: ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার প্রতিবেশীরা!

একটি ঝড়ে ওড়া একটি প্রতিবেশী’র ট্রাম্পোলিনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া সম্পত্তির মেরামতের খরচ দিতে রাজি হচ্ছেন না তিনি। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক ব্যক্তি, যিনি অনলাইনে ‘পোস্টার’ নামে পরিচিত, তার প্রতিবেশীর একটি ট্রাম্পোলিন ঝড়ের সময় উড়ে এসে তার বাড়ির বেড়া এবং গোডাউনের ক্ষতি করে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে (প্রায় ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার থেকে ১০ লক্ষ ৯০ হাজার বাংলাদেশী টাকা)।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি জানান, ঝড়ের সময় তার প্রতিবেশী’র (যাকে ‘এনএএস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) ট্রাম্পোলিনটি উড়ে এসে তাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় এবং গোডাউনের টিনের চালে আঘাত করে। এছাড়াও, গ্যারেজের দরজাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক যখন তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখছিলেন, তখন প্রতিবেশী এসে হাজির হন। তিনি বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দেননি এবং ক্ষতিপূরণ দিতেও অস্বীকার করেন। তিনি বরং পরামর্শ দেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যেন তার নিজের বীমা কোম্পানির কাছে এই ক্ষতির জন্য দাবি জানান।

তবে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি জানান, তিনি একজন আইনজীবী এবং তিনি জানেন এর সঠিক উপায় কী। তিনি প্রতিবেশীকে জানান, ট্রাম্পোলিনটি সুরক্ষিত করতে না পারার কারণে এই ক্ষতি হয়েছে এবং এর দায় প্রতিবেশীকেই নিতে হবে। তিনি আরও জানান, তিনি তার বীমা কোম্পানির কাছে এই ক্ষতির জন্য দাবি করবেন না, কারণ এতে তার বীমার প্রিমিয়াম বেড়ে যেতে পারে।

প্রতিবেশী তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি তাকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর প্রতিবেশী তার বীমা কোম্পানিকে বিষয়টি অবহিত করতে রাজি হন।

আলোচনার পর জানা যায়, সম্ভবত প্রতিবেশী তার ট্রাম্পোলিনের কথা বীমা কোম্পানিকে জানাননি। কারণ ট্রাম্পোলিন থাকলে বীমার খরচ বেড়ে যেতে পারে। তাই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

ঘটনাটি অনলাইনে আসার পর অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এমন ঘটনায় ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ (Act of God) -এর দায় সাধারণত প্রযোজ্য হয় না, যদি কারো গাফিলতি থাকে। এক্ষেত্রে ট্রাম্পোলিনটি ভালোভাবে না বাঁধার কারণে প্রতিবেশীর গাফিলতি ছিল।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *