ওয়ালমার্টের হুঁশিয়ারি: উদ্বেগের কারণ নেই, জানালেন ট্রেজারি সেক্রেটারি!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোষাধ্যক্ষ স্কট বেসেন্ট সম্প্রতি ওয়ালমার্টের পক্ষ থেকে মূল্যবৃদ্ধির যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, তাকে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে – এমন আশঙ্কা অমূলক।

রবিবার এক সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট এই মন্তব্য করেন। ওয়ালমার্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের দোকানে পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

এর কারণ হিসেবে তারা বাণিজ্য শুল্কের কথা উল্লেখ করেন। তবে, কোষাধ্যক্ষ বেসেন্ট মনে করেন, এই পরিস্থিতি তেমন গুরুতর হবে না।

তিনি শনিবার ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডগ ম্যাকমিলনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ভোক্তাদের জন্য তেলের দাম কমার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন গ্যাসের গড় দাম প্রায় ৩.১৮ ডলার।

বেসেন্ট আরও বলেন, ওয়ালমার্ট সম্ভবত কিছু শুল্ক নিজেদের বহন করবে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা ভোক্তাদের ওপর চাপানো হতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি উল্লেখ করেন, এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল, যা ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, মুডি’স রেটিং যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে। তবে বেসেন্ট একে ‘বিলম্বিত সূচক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তার মতে, বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে এই পদক্ষেপের প্রভাব ততটা গুরুতর হবে না। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর পরিকল্পনা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে।

এই পরিকল্পনা আগামী দশকে প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার ঘাটতি তৈরি করতে পারে। বেসেন্ট অবশ্য মনে করেন, অর্থনীতির দ্রুত বিকাশের কারণে এই ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে বার্ষিক ৩ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা কঠিন হবে। বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৪০টি প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে শুল্কের হার নির্ধারণের চেষ্টা করছে এবং চীনের সঙ্গে ৯০ দিনের একটি আলোচনা চলছে।

বেসেন্ট জানিয়েছেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের কারণ সম্ভবত চীনের ওপর আগে আরোপিত উচ্চ শুল্কের হার। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনিশ্চয়তা ব্যবসায়ীদের পরিকল্পনা তৈরিতে সমস্যা তৈরি করছে।

বেসেন্টের মতে, কৌশলগত অনিশ্চয়তা হলো আলোচনার একটি কৌশল। তিনি মনে করেন, অন্য দেশগুলোকে বেশি নিশ্চয়তা দিলে তারা আলোচনার সুযোগ নিতে পারে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *