আতঙ্ক! ট্রোলের মুখোশ উন্মোচন, বদলে গেল আমার জগৎ!

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে তথ্য আদান-প্রদান সহজ হয়েছে, সেখানেই বেড়েছে হয়রানির সম্ভবনা। বেনামী প্রোফাইল থেকে আসা অপমানজনক মন্তব্যগুলো অনেক সময় আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।

সম্প্রতি, এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন একজন সাংবাদিক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে নিজের মতামত প্রকাশ করে আসছেন।

তিনি জানিয়েছেন, একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি অপ্রত্যাশিত বার্তা পান। বার্তাটি ছিল অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ এবং তাঁর শারীরিক গঠন নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ ছিল।

প্রথমে তিনি মর্মাহত হন এবং বুঝতে পারেন, কে বা কারা তাঁকে এভাবে অপমান করছে।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, এই আক্রমণের পেছনে রয়েছে এমন একজন, যাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। অনলাইনে বেনামী আক্রমণের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁর আগেও হয়েছে, তবে পরিচিত কারো দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি তাঁকে নাড়িয়ে দেয়।

শুরুতে, তিনি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি উপলব্ধি করেন, এসবের উত্তর প্রতিশোধ নয়, বরং নিজের মানসিক শক্তি বাড়ানো।

তিনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন, যারা এ ধরনের কাজ করে, তারা আসলে দুর্বল এবং হতাশ। তাদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া মানে নিজেকে ছোট করা।

এই ঘটনার পর, তিনি অনলাইনে নিজের মতামত প্রকাশ করা বন্ধ করেননি। বরং আগের চেয়েও বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি তাঁর কথা বলতে শুরু করেছেন।

তিনি মনে করেন, যারা তাঁর সমালোচক, তাদের কথায় কান না দিয়ে, নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে হয়রানির শিকার হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। অনলাইনে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যগুলো আমাদের মানসিক শান্তির জন্য হুমকি স্বরূপ।

এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন মানসিক দৃঢ়তা এবং আত্ম-সচেতনতা। কোনো আক্রমণের শিকার হলে, চুপ করে না থেকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আমাদের পরিচিত জগৎ এবং অপরিচিত জগতের মধ্যে বিভাজন খুবই সূক্ষ্ম। তাই, অনলাইন জগতে আমাদের আচরণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা অপরিহার্য।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *