আতঙ্কের ১০০ দিন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফুঁসছে জনতা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বাড়ছে প্রতিরোধ: বিক্ষোভ ও ডেমোক্র্যাটদের সক্রিয়তা।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই তার বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাড়ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া যায়, বিক্ষোভ, আইনি লড়াই এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির সক্রিয়তার মাধ্যমে এই প্রতিরোধ জোরদার হচ্ছে।

প্রথম দিকে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও, বর্তমানে প্রতিবাদকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হচ্ছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতি, বিশেষ করে অভিবাসন বিষয়ক নীতি, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সিদ্ধান্ত এবং সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। জনগণের এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে।

বার্নি স্যান্ডার্স এবং অ্যালেক্সান্ড্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের মতো ডেমোক্রেট নেতারা প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে উৎসাহিত করছে।

গত কয়েক মাসে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে একটি বিক্ষোভ, যেখানে কয়েক লক্ষ মানুষ ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, আদালত, অভিবাসী এবং ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

শুধু রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানোই নয়, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে আইনি লড়াইও চলছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির অ্যাটর্নি জেনারেলরা ট্রাম্পের বিভিন্ন নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করছেন।

এইসব আইনি লড়াই ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে নীতি পরিবর্তন করতে পারবে না, তবে এটি ট্রাম্পের সমর্থক এবং তার নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয় এমন অনেককে ভিন্ন পথে প্রভাবিত করতে পারে।

ডেমোক্রেটিক পার্টিও জনগণের এই প্রতিরোধের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। দলের নেতারা বিভিন্ন রাজ্যে সফর করছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।

তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে বিরোধী দলগুলোর মূল লক্ষ্য হলো, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের মধ্যে প্রতিরোধের মানসিকতা তৈরি করা।

তথ্য সূত্র: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *