ট্রাম্প: চাইলে ফিরিয়ে আনতে পারেন, তবুও কেন আনছেন না?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি চাইলে অবৈধভাবে ফেরত পাঠানো সালভাদরের নাগরিক কিলমার আর্ম্যান্ডো অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনতে পারেন, তবে তিনি তা করতে রাজি নন। গত মাসে গার্সিয়াকে ভুলবশত এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের ফলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এর আগে তিনি ও তাঁর শীর্ষ উপদেষ্টারা জানিয়েছিলেন, গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা তাদের নেই। তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু গার্সিয়া বর্তমানে অন্য একটি দেশের হেফাজতে রয়েছেন, তাই যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিল।

একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি চাইলে কি গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনতে পারেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি পারতাম।” এরপর তিনি জানান, এল সালভাদরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে তিনি এই কাজটি করতে পারেন। তবে তিনি যোগ করেন, “যদি তিনি (গার্সিয়া) সেই ব্যক্তি হতেন, যিনি আমার মনে ধারণ করেন, তাহলে আমি অবশ্যই তা করতাম, কিন্তু তিনি তা নন।”

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গার্সিয়ার বিরুদ্ধে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, গার্সিয়ার শরীরে থাকা ট্যাটুগুলো এই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ। যদিও গার্সিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি, একজন ফেডারেল বিচারকও এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, গার্সিয়ার স্ত্রী জেনিফার ভাসকুয়েজ সুরার দেওয়া কিছু অভিযোগও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, গার্সিয়ার সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ ছিল এবং তিনি স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আদালতকে দেওয়া এক আবেদনে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর, মোবাইল ফোন ভাঙচুর এবং অন্যান্য সহিংসতার অভিযোগ করেছেন। জেনিফার অবশ্য পরে জানান, তিনি তাদের ছেলের প্রথম জন্মদিনের কারণে স্বামীর সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন।

এই ঘটনার জেরে গার্সিয়ার আইনজীবী বলছেন, যদি সরকার সত্যিই গার্সিয়ার বিরুদ্ধে এত প্রমাণ পায়, তাহলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

কিলমার আর্ম্যান্ডো অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার ঘটনাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং এল সালভাদরের মধ্যে একটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গার্সিয়ার বিষয়টি একদিকে যেমন অভিবাসন বিষয়ক জটিলতা তৈরি করেছে, তেমনি গ্যাং সদস্যতা এবং পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগের কারণে এটি আরও গুরুতর রূপ নিয়েছে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *