ট্রাম্প: কাতার থেকে আসছে এয়ার ফোর্স ওয়ানের নতুন উড়োজাহাজ!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা দেখা দিলে, কাতারের রাজপরিবারের কাছ থেকে একটি বিলাসবহুল বিমান গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এই খবরটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ সাধারণত এমন ঘটনা নজিরবিহীন।

এই বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বিমান বহর ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর অংশ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের এই বিশাল বিমানটি কাতার সরকার উপহার হিসেবে দিতে চাইছে। কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিমানটি সরাসরি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে দেবে এবং এরপর এটিকে প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।

এই চুক্তির মাধ্যমে মূলত একটি সরকার থেকে অন্য সরকারের মধ্যেকার লেনদেন হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

এই পদক্ষেপটি বেশ কয়েকটি কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, একটি বিদেশি সরকারের কাছ থেকে সরাসরি এত দামি একটি বিমান উপহার হিসেবে নেওয়া নজিরবিহীন। এছাড়া, এই চুক্তির নৈতিক এবং আইনি দিক নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

কারণ, এই ধরনের উপহার গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে।

ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা ইতোমধ্যেই ফ্লোরিডার পাম বিচে বিমানটি পরিদর্শন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

বিমানটি পরিদর্শনের পর ট্রাম্প এর বিলাসবহুল নকশা এবং প্রযুক্তির প্রশংসা করেছেন।

এদিকে, নতুন ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ তৈরির যে সরকারি প্রকল্প, সেটি নানা কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে বিলম্বিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে দুটি বোয়িং ৭৪৭ বিমানকে সংস্কার করে নতুন ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ তৈরি করার কথা ছিল, যা ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা এবং কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট জনবল সংকটের কারণে সেই সময়সীমা পিছিয়ে গেছে।

বর্তমানে ২০২৭ সালের আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই বিলম্বের কারণে ট্রাম্প বেশ অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং দ্রুত সমাধানের জন্য তিনি এক সময় ইলন মাস্কের সাহায্যও চেয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *