যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিমালায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রাক্তন ট্রাম্প প্রশাসন লিবিয়া ও রুয়ান্ডাকে অভিবাসী পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে এমন অভিবাসীদের এবং সীমান্ত অতিক্রম করে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের এই দুটি দেশে পাঠানো।
আলোচনা অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসন লিবিয়ার সঙ্গে একটি ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশ’ চুক্তি করারও চেষ্টা করছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন সীমান্তরক্ষীদের হাতে আটক হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের লিবিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।
তবে, এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং কোন কোন দেশের নাগরিক এই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, রুয়ান্ডার সঙ্গে আলোচনায় অভিবাসীদের পুনর্বাসনের একটি পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে সাজা খেটেছেন এমন অপরাধমূলক রেকর্ডযুক্ত অভিবাসীদের রুয়ান্ডা গ্রহণ করবে।
রুয়ান্ডা তাদের কারাগারে না রেখে সমাজে পুনর্বাসন করবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে, যেমন – ভাতা প্রদান ও স্থানীয়ভাবে কাজ খুঁজে পেতে সাহায্য করা।
বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। কারণ, লিবিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, যা জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, যুক্তরাজ্য সরকারও রুয়ান্ডার সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি করার চেষ্টা করেছিল, যা পরবর্তীতে আইনি জটিলতার কারণে বাতিল হয়ে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বজুড়ে কাজ করছে। তবে, তারা কূটনৈতিক আলোচনার বিস্তারিত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন