মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে, ট্রাম্প প্রশাসন লিবিয়ায় কয়েকজন অনথিভুক্ত অভিবাসীকে একটি সামরিক বিমানে করে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যা অনেকের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ব্যবহার করে অভিবাসীদের লিবিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। কবে এই বিমান যাত্রা শুরু করবে, অথবা ভবিষ্যতে আরও অভিবাসীকে লিবিয়ায় পাঠানো হবে কিনা, সে বিষয়েও নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, একটি মার্কিন এয়ার ফোর্স সি-১৭ বিমান বুধবার টেক্সাসের সান আন্তোনিও-র কেলি ফিল্ড থেকে লিবিয়ার মিসরাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পরিকল্পনা করেছে।
বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের ওয়েবসাইটগুলি এই তথ্য জানাচ্ছে।
লিবিয়া বর্তমানে একটি গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলি অভিবাসীদের প্রতি লিবিয়ার আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর লিবিয়ার জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে, যা সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ, অবিস্ফোরিত ল্যান্ডমাইন, নাগরিক অস্থিরতা, অপহরণ ও সশস্ত্র সংঘাতের কারণে লিবিয়ায় ভ্রমণ করা উচিত নয়।”
জানা যাচ্ছে, লিবিয়ায় অভিবাসী পাঠানোর পাশাপাশি, রুয়ান্ডাসহ আফ্রিকার অন্যান্য কিছু দেশেও অভিবাসীদের পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। যদিও বর্তমানে ঐ দেশগুলোতে অভিবাসী পাঠানোর কোনো নিশ্চিত পরিকল্পনা নেই।
এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত অভিবাসন নীতিরই একটি অংশ, যা ইতোমধ্যে রাজনৈতিক এবং আইনগতভাবে সমালোচিত হয়েছে। এর আগে, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক মহল অভিবাসন নীতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তথ্য সূত্র: CNN