মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের ফেডারেল চুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যা সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে হার্ভার্ডের সঙ্গে থাকা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করতে এবং অন্য কোনো পক্ষের সঙ্গে কাজ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বলবে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের নীতিমালার সঙ্গে একমত না হওয়ায় হার্ভার্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এর আগে হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ২.৬৫ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল তহবিলও বাতিল করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের রেকর্ড জমা দেওয়া এবং ক্যাম্পাসে ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর মতো কিছু বিষয়ে সরকারের নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি।
হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার গত মাসে এক বিবৃতিতে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকার ছাড়বে না। এর প্রতিক্রিয়ায়, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়টি ফেডারেল অনুদান এবং করমুক্ত সুবিধাও হারাতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
আগে, হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যদিও একটি ফেডারেল আদালতের হস্তক্ষেপে বর্তমানে তা স্থগিত রয়েছে। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষের মতে, সরকারের এমন পদক্ষেপ ছিল তাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকারের কিছু নীতির সঙ্গে একমত হতে পারেনি বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা এবং হার্ভার্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশি শিক্ষার্থী এবং গবেষণা খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: CNN