ভয়ংকর বিপদ! ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কি ধ্বংসের মুখে দেশ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্প, সুনামি, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সৌরঝড়ের মতো বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে কর্মী ছাঁটাই এবং তহবিলের অভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে দেশটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এবং ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) -এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোতে কর্মী কমানো হয়েছে। ফলে, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিগুলো সম্পর্কে সময় মতো সতর্কবার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ‘শেকএলার্ট’ সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণেও অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও, সুনামির পূর্বাভাস এবং আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলোতেও কর্মীদের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ক্যাসকেডিয়া সাবডাকশন জোনে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে, যা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ভূমিকম্পের ফলে ৯.০ মাত্রার কম্পন হতে পারে এবং এর ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু ঢেউ তৈরি হতে পারে।

এমনটা হলে উপকূলীয় শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং প্রায় ১৩,৮০০ মানুষের মৃত্যু ও ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ আহত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পর্যবেক্ষণেও একই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হাওয়াইয়ের কিলাউয়া আগ্নেয়গিরি এবং আলাস্কার গ্রেট সিটকিন-এর মতো সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর উপর নিয়মিত নজর রাখা হলেও, কর্মী সংকটের কারণে তাদের পর্যবেক্ষণেও সমস্যা হচ্ছে।

সৌরঝড়ের বিষয়টিও উদ্বেগের কারণ। সূর্যের অভ্যন্তর থেকে নির্গত হওয়া প্লাজমা ও অন্যান্য কণা পৃথিবীর উপর আঘাত হানলে, তা বিদ্যুতের গ্রিড এবং রেডিও সিস্টেমে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

বর্তমানে, সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও কমে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সময় মতো পূর্বাভাস দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জনবল ও উপযুক্ত সরঞ্জামের কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা বিষয়টি বিবেচনা করি, তাহলে দেখা যায়, এখানেও ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি রয়েছে।

তাই, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুতি সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে। জনবল বৃদ্ধি, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার এবং নিয়মিত মহড়ার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *