ফের ধাক্কা! বরখাস্ত কর্মীদের পুনর্বহালের রায়ে ট্রাম্পের তোলপাড়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ফেডারেল সরকারের কয়েক হাজার প্রবেশনাল কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে এই আবেদন জানানো হয়েছে।

আদালতের নথি অনুযায়ী, সান ফ্রান্সিসকোর একজন ফেডারেল বিচারক সম্প্রতি এক আদেশে ছয়টি ফেডারেল সংস্থাকে নির্দেশ দেন, বরখাস্ত হওয়া ১৬,০০০ এর বেশি কর্মীকে দ্রুত পুনর্বহাল করার জন্য।

ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই রায় কার্যকর হলে তা নির্বাহী বিভাগের উপর “মারাত্মক ক্ষতি” ডেকে আনবে।

আবেদনটিতে, ভারপ্রাপ্ত সলিসিটর জেনারেল সারা হ্যারিস উল্লেখ করেছেন, নিম্ন আদালতের এই রায় সরকারের জন্য “অত্যধিক প্রশাসনিক বোঝা” তৈরি করেছে। তিনি আরও জানান, এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যে বরখাস্ত হওয়া হাজার হাজার কর্মীকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে এবং তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হচ্ছে।

আদালতের শুনানিতে, ফেডারেল সরকারের আইনজীবী যুক্তি দেন যে, কর্মীদের বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে অফিসের পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট (OPM) কর্মকর্তাদের নির্দেশ ছিল। এই নির্দেশিকার ভিত্তিতেই সংস্থাগুলো তাদের কর্মীদের বিদায় করে।

যদিও, শ্রমিক সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যায় এবং তাদের যুক্তি ছিল, কর্মীদের বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে OPM-এর এই পদক্ষেপ বেআইনি ছিল।

আদালতে বিচারক উইলিয়াম অ্যালসাপ, যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁর রায়ে কর্মীদের পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিটি সংস্থার নিজস্ব কর্মী নিয়োগ ও বরখাস্ত করার ক্ষমতা রয়েছে।

কিন্তু OPM-এর নির্দেশে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছিল, যা সঠিক ছিল না।

আদালতের এই রায়ের ফলে, ফেডারেল শ্রমিক সংগঠনগুলো কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন প্রবেশনাল কর্মীদের দুর্বল কর্মসংস্থান সুরক্ষার সুযোগ নিয়েছিল।

সাধারণত, তাঁরা বরখাস্ত হলে মেরিট সিস্টেমস প্রোটেকশন বোর্ডের কাছে আপিল করতে পারেন না। তবে রাজনৈতিক বা বৈবাহিক কারণে বরখাস্ত করা হলে, তাঁদের আপিল করার সুযোগ থাকে।

আইনজীবীরা বলছেন, কংগ্রেস ফেডারেল কর্মীদের বরখাস্তের বিষয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একটি ভিন্ন কাঠামো তৈরি করেছে। ইউনিয়নগুলোর সরাসরি নিম্ন আদালতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে, সেই প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *