মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসি’র শীর্ষ সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে এড মার্টিনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, শীঘ্রই এই পদে নতুন একজন ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা হবে।
সিনেটে রিপাবলিকানদের বিরোধিতার মুখে মার্টিনের মনোনয়ন আটকে যাওয়ার উপক্রম হওয়ার পরেই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিলেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “এড মার্টিন একজন অসাধারণ ব্যক্তি, তবে তিনি অনেকের সমর্থন পাচ্ছিলেন না।” তিনি আরও জানান মার্টিনকে হয়তো বিচার বিভাগের অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে মার্টিনের মনোনয়ন বাতিলের পেছনে মূল কারণ ছিল রিপাবলিকান সিনেটরদের মধ্যে তীব্র বিরোধিতা। বিশেষ করে, সিনেটর থম টিলিস মার্টিনের মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্য টিলিস, যিনি মার্টিনের মনোনয়ন অনুমোদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, জানান, ক্যাপিটল হিলে গত ৬ জানুয়ারির হামলার বিষয়ে মার্টিনের কিছু মন্তব্যের কারণে তিনি উদ্বিগ্ন। মার্টিন এর আগে ওই হামলার সময় ক্যাপিটলের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছিলেন।
মার্কিন সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান, সিনেটর চাক গ্রাসলি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি আগে থেকে অবগত ছিলেন না। তিনি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।”
ওয়াশিংটন ডিসি’র সরকারি কৌঁসুলি পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি সেখানকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদারকি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলের ঘটনাটি এখনো বেশ সংবেদনশীল একটি বিষয়। ট্রাম্প সমর্থকরা ওই দিন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে এড মার্টিনের মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নতুন মনোনয়ন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দেবে। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্প কাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন এবং সিনেটে তার ভাগ্য কী হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন