ইরানে বোমা: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে যুদ্ধের দামামা?

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার রাতে ঘোষণা করেছেন যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার উপর বোমা হামলা চালিয়েছে। এই ঘোষণার মাধ্যমে তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণের এক সপ্তাহের বিতর্কের অবসান হলো এবং যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের একটি ক্রমবর্ধমান সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম, ‘ট্রুথ সোশাল’-এ লিখেছেন, “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়, যার মধ্যে ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান অন্তর্ভুক্ত, সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সকল বিমান এখন ইরান থেকে বাইরে।” তিনি আরও যোগ করেন যে, প্রধান কেন্দ্র ফোরদোতে ‘বোমার পূর্ণ আঘাত হানা হয়েছে’। শান্তির আহ্বান জানিয়ে তিনি তার বার্তা শেষ করেন।

ট্রাম্প আরও লেখেন, “বিশ্বে এমন কোনো সামরিক বাহিনী নেই যারা এটা করতে পারতো। এখন শান্তির সময়!” এই ঘটনার ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত তার দ্বিতীয় মেয়াদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর অন্যতম। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের প্রধান স্থাপনাগুলোতে সরাসরি বিমান হামলা চালালেন।

বিশেষ করে ফোরদো স্থাপনায় হামলার সিদ্ধান্ত, যা নিয়ে এর আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, ট্রাম্পকে সরাসরি এমন একটি সংকটে ফেলেছে যা তিনি কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। একই সাথে, সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে এমনিতেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে পারে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ভালো সম্পর্ক রয়েছে, তাই এই অঞ্চলের যেকোনো অস্থিতিশীলতা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ। তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *