ভুল স্বীকার! ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের বিদায় জানাতে ক্ষমা চাইল ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের চলে যেতে বলার জন্য ক্ষমা চাইল ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের তাদের দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিল, যা ছিল একটি ভুল পদক্ষেপ। সম্প্রতি, রুশ আগ্রাসন থেকে বাঁচতে আসা কতিপয় ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে এমন একটি বার্তা পাঠানো হয়েছিল যেখানে তাদের জানানো হয় যে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের থাকার আইনি অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।

পরে অবশ্য এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

জো বাইডেন এর শাসনামলে চালু হওয়া ‘ইউনাইটিং ফর ইউক্রেন’ (U4U) প্রোগ্রামের অধীনে প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু সিবিএস নিউজের খবর অনুযায়ী, এই সপ্তাহের শুরুতে কিছু শরণার্থীকে একটি ইমেইল পাঠানো হয়, যেখানে তাদের জানানো হয় যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর তাদের আইনি সুরক্ষা বাতিল করতে যাচ্ছে।

যুদ্ধ শুরুর দিকে যারা মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে ২০,০০০ এর বেশি ইউক্রেনীয়কে মানবিক কারণে অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট এবং বিতাড়ন থেকে সুরক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

গত ৩ এপ্রিল তারিখে পাঠানো ওই নোটিশে শরণার্থীদের বলা হয়, “আপনাকে দেওয়া প্যারোল বাতিল করতে স্বরাষ্ট্র দপ্তর তার ক্ষমতা প্রয়োগ করছে। আপনি যদি দ্রুত দেশ না ছাড়েন, তাহলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে।”

একইসঙ্গে তাদের স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে, পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ভুলবশত কিছু ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে এমন নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

দ্রুতই তারা তাদের ভুল স্বীকার করে এবং জানায় যে, ইউ4ইউ প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে দপ্তরটি।

অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসন অন্যান্য দেশের অভিবাসন কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে কিউবান, হাইতিয়ান, নিকারাগুয়ান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকরাও রয়েছেন।

তাদের আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় শরণার্থীরাও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।

আরেকটি ঘটনায়, গত মার্চ মাসে ভুল করে একজন সালভাদরীয় নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল।

পরে আদালত এই বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করে এবং ওই ব্যক্তিকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন।

যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ওই ব্যক্তিকে ফেরাতে খুব বেশি কিছু করতে পারবে না।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *