ভিপি হিসেবেই বাজিমাত? ট্রাম্পের ইঙ্গিতে ক্ষমতার আসনে ভ্যান্স!

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (মেগা) আন্দোলনের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হতে পারেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে রিপাবলিকান দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভ্যান্সের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সকে ভবিষ্যতের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয়, সম্ভবত তিনিই (ভ্যান্স) এই আন্দোলনের উত্তরাধিকারী হবেন।

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মনে করি মার্কোও (রুবিও) হয়তো কোনোভাবে জেডির সঙ্গে একত্রিত হতে পারেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে ওইদিন আরও উপস্থিত ছিলেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি। বিশ্লেষকদের মতে, তারাও ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে আগ্রহী।

তবে ট্রাম্পের মন্তব্যে ভ্যান্সের সম্ভাবনার দিকেই বেশি ইঙ্গিত ছিল।

ভ্যান্সের বিষয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, “এখনও অনেক দেরি আছে, তবে তিনি দারুণ কাজ করছেন এবং সম্ভবত এই মুহূর্তে তিনিই (ভ্যান্স) সবচেয়ে পছন্দের প্রার্থী।

অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত মাসে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে তিনি বলেছিলেন যে, জে ডি ভ্যান্স একজন “মহান প্রার্থী” হতে পারেন।

রুবিও আরও জানান, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভ্যান্স ভালো কাজ করছেন এবং তিনি তার বন্ধু। রুবিও অবশ্য তার নিজের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেননি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, ট্রাম্প এর আগে ২০২৮ সালের জন্য সরাসরি কোনো উত্তরসূরীর নাম ঘোষণা করেননি।

তবে তিনি ফেব্রুয়ারিতে ভ্যান্সকে “খুবই যোগ্য” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

জানা যায়, বর্তমানে ভ্যান্স ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এর পাশাপাশি, প্রাক্তন ফ্লোরিডার সিনেটর রুবিও-ও প্রশাসনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করেছেন।

তিনি হেনরি কিসিঞ্জারের পর একই সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রুবিও এবং ভ্যান্সের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যদিও তারা একসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, পরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

গত মাসে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেছিলেন, “মার্কো অসাধারণ দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য, এবং তিনি প্রশাসনের আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *