যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সদর দপ্তরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশাল ছবি সংবলিত একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
ব্যানারটি স্থাপন করা হয়েছে ইউএসডিএ-র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ছবির পাশে। খবরটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই একে একনায়কতন্ত্রের চর্চা ও জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত উপন্যাস ‘১৯৮৪’-এর ‘বিগ ব্রাদার’-এর ধারণার সঙ্গে তুলনা করছেন।
জানা গেছে, গত ১৫ই মে ছিল ইউএসডিএ-র ১৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই উপলক্ষে কৃষি বিভাগের সচিব ব্রুক রলিন্স এক টুইট বার্তায় ব্যানারটির প্রতি সমর্থন জানান।
তিনি লেখেন, “যুক্তরাজ্যে সফল সফর শেষে আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছি। সেখানে আমরা ‘ইউএসএ অ্যাগ্রি ট্রেড’-এর প্রচার চালিয়েছি।
আব্রাহাম লিংকন ইউএসডিএ প্রতিষ্ঠা করার ১৬৩ বছর পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসীvision কৃষকদের জন্য এক সোনালী যুগের সূচনা করছে। আপনারা সাথেই থাকুন, সেরাটা এখনো আস্বাদন করা বাকি।”
প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কর্মীরা ক্রেনের সাহায্যে ব্যানারটি স্থাপন করছেন। ট্রাম্পের এই প্রতিকৃতি সাধারণত এমন সব স্থানে দেখা যায়, যেখানে একনায়কতান্ত্রিক অথবা রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান।
সমালোচকেরা বলছেন, কোনো দেশের সরকারি ভবনে এ ধরনের ছবি টাঙানোটা কিছুটা অস্বাভাবিক। কেউ কেউ একে ‘বিগ ব্রাদার’-এর ধারণার সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে সরকার নাগরিকদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক টিম মিলার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমার মনে হয়, তথাকথিত স্বাধীনতা-প্রিয় ‘ম্যাগা’ সমর্থকরা তৃতীয় বিশ্বের মতো একটি ভীতি-জাগানো সংস্কৃতি তৈরি করতে চাইছে, যেখানে একজন ‘জাতীয় পিতা’র প্রতি আনুগত্য অত্যাবশ্যকীয়।”
অপর একজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “যদি জো বাইডেন (কিংবা ওবামা) এমনটা করতেন, তাহলে ‘ফক্স নিউজ’-এর কী প্রতিক্রিয়া হতো, সেটা একবার ভাবুন!”
এদিকে, ‘মার্কেটপ্লেস ডটওআরজি’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সর্বশেষ বাজেট কাটছাঁটের কারণে ক্ষুদ্র কৃষকরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল
