মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিমালার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল প্রতিনিধি পরিষদে (House of Representatives) ভোটাভুটির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হওয়া ভোটাভুটিতে বিলটি উত্থাপনের পথ সুগম হয়েছে, যা এখন পূর্ণাঙ্গ ভোটে যাওয়ার অপেক্ষায়।
জানা গেছে, বিলটি পাসের জন্য ভোটাভুটিতে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির (GOP) সদস্যরা তীব্র বিতর্কের মধ্যে পড়েন। ভোটাভুটির ফল ছিল ২১৭-২১২, যেখানে রিপাবলিকান দলের একজন সদস্য বিলের বিপক্ষে ভোট দেন।
তবে, দলের প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে পরিচিত, রিপাবলিকান প্রতিনিধি চিপ রয় বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এই বিলটি মূলত ট্রাম্প এবং স্পিকার (হাউস নেতা) মাইক জনসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছিল। রিপাবলিকান নেতারা এই বিল পাসের জন্য কঠোর চেষ্টা করেছেন।
বিলটি পাসের জন্য ট্রাম্পও রিপাবলিকান সদস্যদের প্রতি সমর্থন চেয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, দলের রক্ষণশীল এবং মধ্যপন্থী—উভয় শিবিরের সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় নেতাদের বেগ পেতে হয়েছে।
কারণ, স্পিকার জনসন সামান্য কিছু সদস্যের সমর্থন হারালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়তেন।
যদি প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হয়, তবে এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও স্পিকার জনসনের জন্য একটি বড় জয় হবে। তবে, এরপরেও বিলটিকে আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
বিলটি এখন সিনেটে যাবে, যেখানে রিপাবলিকান সদস্যরা তাদের নিজস্ব কিছু পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।
এই বিলের মূল বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে—মেডিকেইড এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁট করা এবং ট্রাম্পের ২০১৭ সালের কর হ্রাসের নীতিগুলি বহাল রাখা। এছাড়া, বিলটিতে বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর সুবিধা বাতিল করারও প্রস্তাব রয়েছে।
এই বিলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। এর পাশাপাশি, এই ধরনের নীতি পরিবর্তন বিশ্ব অর্থনীতি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপরও পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলটি পাস হলে তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে, সিনেটে বিলটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকায় এর ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।
তথ্যসূত্র: সিএনএন