ট্রাম্পের বিশাল বিল: কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে প্রধান পরিবর্তনগুলো?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন বিল আকারে স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। এই আইনে কর কাঠামো এবং সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিলটিতে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার কিছু তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলবে, আবার কিছু প্রভাব দেখা যাবে কয়েক বছর পরে।

বিলে ২০১৬ সালের কর হ্রাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যা এর অন্যতম প্রধান দিক। এছাড়া, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ আরও বাড়ানো হয়েছে।

একইসঙ্গে, দেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে, বিশেষ করে মেডিকেড ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এই বিলের কিছু অংশ এই বছর থেকেই কার্যকর হবে। উদাহরণস্বরূপ, বৈদ্যুতিক গাড়ির ট্যাক্স ক্রেডিট বাতিল এবং টিপস ও অতিরিক্ত সময়ের কাজের ওপর করের সাময়িক বিলুপ্তি উল্লেখযোগ্য।

অন্যদিকে, কিছু বিধান কার্যকর হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। যেমন, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরে এর কিছু প্রভাব দৃশ্যমান হবে।

আসুন, এই বিলের প্রধান বিধানগুলোর সময়সীমা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:

  • আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থী ঋণ সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন কার্যকর হবে।
  • মধ্যবর্তী নির্বাচনের এক মাস আগে অভিবাসীদের জন্য মেডিকেডের যোগ্যতা সীমিত করার বিধান কার্যকর হবে।
  • ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মেডিকেডের নতুন কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রয়োজনীয়তা এবং যোগ্যতার যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
  • খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে দুটি বড় ধরনের পরিবর্তন কবে নাগাদ কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

তবে, মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) রাজ্যগুলোকে আইনটি কার্যকর করার বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করবে।

এই সার্কুলারে ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী সুবিধাভোগী এবং ১৩ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের অভিভাবকদের জন্য কাজের প্রয়োজনীয়তা প্রসারিত করা এবং কিছু আইনি অভিবাসীর জন্য যোগ্যতার সীমা নির্ধারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনবে এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন।

এই আইনের বিভিন্ন দিক এখনো আলোচনার বিষয়, এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে আরও স্পষ্ট হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *