ঐক্য টিকিয়ে রাখতে রিপাবলিকানদের ম্যারাথন, ট্রাম্পের বিল নিয়ে গভীর সংকট!

মার্কিন সিনেটে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একটি বিশাল বিল নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। এই বিলে কর ছাড় এবং সরকারি ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে।

রিপাবলিকান দল, যারা বর্তমানে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের মধ্যেই এই বিল নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমানো এবং জাতীয় ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।

এই বিলের বিরোধিতায় প্রধান ভূমিকা পালন করছে ডেমোক্রেটরা। তাদের মূল অভিযোগ হলো, এই বিলের কারণে স্বাস্থ্য পরিষেবা দুর্বল হবে এবং জাতীয় ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।

বিলটিতে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ হ্রাস, খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে পরিবর্তন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব রয়েছে।

বিলটি নিয়ে বিতর্কের মূল কেন্দ্রে রয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটররা। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুন বিলটি পাসের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন, তবে দলের মধ্যেকার বিভেদ তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ করে, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমানোর কারণে যারা উদ্বিগ্ন, তাদের সঙ্গে রক্ষণশীলদের একটি অংশের সমঝোতা এখনো হয়নি। এই বিলের কারণে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে অনেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ডেমোক্রেটরা বিলের বিরোধিতা করে এটিকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। তারা যুক্তি দিচ্ছেন যে, এই বিল দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে।

বিলের একটি প্রধান দিক হলো, ট্রাম্পের আগের মেয়াদের কর ছাড়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং নতুন কিছু কর ছাড় যুক্ত করা। এই কারণে সরকারি কোষাগারে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

বিলটি পাসের ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের খুব বেশি সুযোগ নেই। সিনেটে তাদের সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে, এই বিল পাস করতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

কিছু সিনেটর স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমানোর বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, খাদ্য সহায়তা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাবও রয়েছে।

এই বিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সীমান্ত নিরাপত্তা খাতে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব। এর মধ্যে অভিবাসন বিষয়ক কিছু বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তবে বিলটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সিনেটরদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি’র খবর অনুযায়ী, বিলটি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এর ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে।

তথ্য সূত্র: এপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *