এখানে একটি নতুন সংবাদ নিবন্ধ:
**ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে শীর্ষ ধনীদের ক্ষতি, বিশ্ববাজারে কী প্রভাব?**
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক (tariff) আরোপের ঘোষণার জেরে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা দিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের ওপর, যাদের অনেকে ট্রাম্পের নীতি সমর্থন করেন। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের ঘোষণার পর, শেয়ারবাজারে প্রথম দুই দিনের লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ জন ধনী ব্যক্তির সম্মিলিতভাবে ৫৩৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুই দিনের ক্ষতির রেকর্ড। এই ধাক্কায় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির খবর নিচে তুলে ধরা হলো:
- **এলোন মাস্ক:** টেসলার প্রধান নির্বাহী এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মাস্ক, এই ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ আলোচিত ছিল। বাজারে টেসলার শেয়ারের দর পতনের কারণে, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে তার ব্যক্তিগত সম্পদের ৩১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমে যায়। যদিও তিনি এখনো বিশ্বের শীর্ষ ধনী, তবে চলতি বছরে তার সম্পদের পরিমাণ ১৩০ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
- **মার্ক জাকারবার্গ:** ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মার্ক জাকারবার্গের ক্ষতি হয়েছে ২৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিশ্বের তৃতীয় ধনী এই ব্যক্তির মেটা’র শেয়ারের দর প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে।
- **জেফ বেজোস:** অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ক্ষতির পরিমাণ ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বজুড়ে পণ্য সরবরাহকারী এই কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে তার সম্পদ কমেছে।
- **বার্নার্ড আর্নল্ট:** বিলাসবহুল পণ্যের সাম্রাজ্য এলভিএমএইচের মালিক বার্নার্ড আর্নল্টের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, এই অস্থির বাজারেও একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি লাভবান হয়েছেন। বিনিয়োগ কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ারম্যান ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
এই ঘটনার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার ফলস্বরূপ শেয়ারবাজারে এই দরপতন। বিশেষ করে, প্রযুক্তি এবং পোশাক শিল্পের কোম্পানিগুলো এই পরিস্থিতিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কারণ, এই কোম্পানিগুলো মূলত এশিয়া অঞ্চলের বাজার এবং কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল।
এই বাজারের অস্থিরতা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কারণ, বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনের ফলে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল এবং প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো স্থিতিশীল রয়েছে এবং সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে।
তথ্য সূত্র: The Guardian