যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে (Washington D.C.) ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (তারিখ উল্লেখ করা হয়নি) ওয়াশিংটন মনুমেন্টের পাদদেশে সমবেত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প এবং তার সহযোগী, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের (Elon Musk) বিভিন্ন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া, কর্মীদের ছাঁটাই করা এবং জনসেবা হ্রাস করার মাধ্যমে মার্কিন গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন, যেখানে ট্রাম্প ও মাস্কের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ছিল। বিক্ষোভের মূল উদ্যোক্তা ‘ইনডিভিজিবল’ (Indivisible) নামক একটি নাগরিক সংগঠন।
তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ডেমোক্রেটিক দলের সদস্য এবং অন্যান্য সংগঠনও এই বিক্ষোভে সমর্থন জানায়। বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগুলো দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তারা এটিকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভকারীরা ইলন মাস্কের সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় প্রভাব বিস্তারেরও বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, মাস্কের এই ধরনের পদক্ষেপগুলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, মাস্ক সম্প্রতি বিভিন্ন নির্বাচনে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, যা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ডেমোক্রেট নেতারা মনে করেন, এই ধরনের গণআন্দোলন ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শক্তি জোগাবে। তারা জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, এই আন্দোলনে আরও বেশি করে অংশগ্রহণের জন্য, যাতে আগামী কংগ্রেসি নির্বাচনে (Congress Election) এর প্রভাব পড়ে।
উইসকনসিনের (Wisconsin) একটি নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের জয় এই আন্দোলনের কর্মীদের আরও উৎসাহিত করেছে।
বিক্ষোভকারীরা তাদের উদ্বেগের কারণ হিসেবে ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিকেও তুলে ধরেন, যা আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বক্তারা আশা করেন, এই বিক্ষোভগুলো ট্রাম্পের নীতিতে হতাশ হওয়া আরও অনেক আমেরিকানকে আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহিত করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বিক্ষোভ ট্রাম্প প্রশাসনকে দুর্বল করতে সহায়ক হবে। তবে, তারা এও মনে করেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে শুধু বিক্ষোভই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন শক্তিশালী আইনগত পদক্ষেপ এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, এই বিক্ষোভ আগামী দিনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। অনেকেই মনে করছেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে আগামী কংগ্রেসি নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান