মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কানাডার উপর আরোপিত শুল্ক বহাল রাখার জন্য রিপাবলিকান সিনেটরদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। এই শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে তিনি উত্তর সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল পাচার বন্ধের কথা উল্লেখ করেছেন।
ডেমোক্র্যাটরা একটি প্রস্তাব এনেছেন, যা এই শুল্কগুলি বাতিল করার চেষ্টা করছে। সিনেটে এই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে এবং এই ঘটনা ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির প্রতি রিপাবলিকানদের সমর্থন পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছেন ডেমোক্র্যাটরা। তাদের মতে, ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে মূলত ধনী ব্যক্তিদের সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছেন। ডেমোক্র্যাট সিনেটর টিম কেইন অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প একটি ‘ভিত্তিহীন জরুরি অবস্থা’ তৈরি করেছেন, যা মূলত কর ছাড়ের অর্থ জোগাড়ের কৌশল।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান দলের নেতারা বলছেন, ট্রাম্প সীমান্ত নিরাপত্তা এবং ফেন্টানাইল পাচার বন্ধের জন্য কাজ করছেন। তবে, দলের অনেক সদস্য এই শুল্কের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, কানাডার উপর শুল্ক আরোপের ফলে বাড়ি নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যেতে পারে এবং কাগজ ও বিয়ার শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতেও প্রভাব পড়তে পারে।
আলাস্কার সিনেটর লিসা মারকোওস্কি, মেইনের সুজান কলিন্স এবং কেনটাকির মিচ ম্যাককনেলের মতো প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটরদের ভোট নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে এই রিপাবলিকান সিনেটররা যোগ দেন, তাহলে প্রস্তাবটি সহজেই পাস হয়ে যেতে পারে।
কানাডার উপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমর্থনে ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছেন যে, কানাডা অবৈধ মাদক প্রবেশ বন্ধ করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যদিও সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণা সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইলের অনুপ্রবেশের পরিমাণ, কানাডার সীমান্ত দিয়ে আসা মাদকের চেয়ে অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এর প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলির উপরও পড়তে পারে। সিনেটর কেভিন ক্রেমার জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে কানাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি আশা করছেন, এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত আলোচনার একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস