যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক নীতির কারণে গাড়ির মালিকানা আরো ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের বাজারেও।
খবর সূত্রে জানা গেছে, আমদানি করা গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে গাড়ির মেরামত খরচ বাড়বে, যা পরবর্তীতে বীমা খরচকেও প্রভাবিত করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করলেও, বিশ্বব্যাপী গাড়ির যন্ত্রাংশের সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করবে। এর ফলস্বরূপ, গাড়ি মেরামতের দোকানগুলো দাম বাড়াতে বাধ্য হবে, ফলে গাড়ির মালিকদের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে বেশি খরচ করতে হবে।
আমদানি শুল্কের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম কতটা বাড়বে, তা নির্ভর করছে আপনার গাড়ির কী মেরামতের প্রয়োজন এবং আপনি কোথায় কাজটি করাচ্ছেন তার ওপর। তবে, বিশ্লেষকদের ধারণা, খুব শীঘ্রই এর প্রভাব দৃশ্যমান হতে পারে। অনেক গাড়ির যন্ত্রাংশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়, তাই শুল্কের কারণে সেগুলোর দাম বাড়বে, যা সরাসরি গ্রাহকদের ওপর চাপ ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘অটোমোটিভ বডি পার্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর নির্বাহী পরিচালক এডওয়ার্ড সালামি জানিয়েছেন, গাড়ির কোম্পানিগুলো তাদের যন্ত্রাংশ এবং মেরামতের ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। শুল্ক এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। ফলে, অনেক বিক্রেতা তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হবে।
এই শুল্ক নীতির কারণে বীমার প্রিমিয়ামও বাড়তে পারে। কারণ, নতুন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে গাড়ির মেরামত খরচ বাড়লে, বীমা কোম্পানিগুলোও তাদের খরচ সমন্বয় করতে প্রিমিয়াম বাড়াবে। যদিও এর প্রভাব সরাসরি দেখা যেতে সম্ভবত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে যদি গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বাড়ে, তবে বিশ্ব বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। এর ফলে, বাংলাদেশেও গাড়ি এবং যন্ত্রাংশের দাম বাড়তে পারে। বিশেষ করে, যেসব যন্ত্রাংশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়, সেগুলোর দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো বাংলাদেশি গ্রাহক তার গাড়ির জন্য যন্ত্রাংশ আমদানি করেন, তবে তাকে হয়তো এখন আগের চেয়ে বেশি দাম দিতে হতে পারে।
অতএব, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ির বাজারকেই প্রভাবিত করবে না, বরং বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে বাংলাদেশের বাজারেও এর পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে। তাই, এই ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতি ও ভোক্তাদের প্রভাবিত করে, সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস