চীনকে নিয়ে ট্রাম্পের ইউ-টার্ন: শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ কি অবশেষে কিছুটা শান্ত হতে চলেছে? সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর আরোপিত শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এই খবর বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি এনেছে, তবে এর প্রভাব বাংলাদেশের উপর কেমন হবে, তা এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কারণ হিসেবে জানা যায়, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে বাজারের অস্থিরতা বেড়েছে।

যদিও শুল্ক কমানোর বিষয়ে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে তিনি বলেছেন, এই শুল্ক ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ কমানো হবে, তবে তা ‘শূন্য’ হবে না।

এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ টেকসই নয়। তিনি খুব শীঘ্রই এই পরিস্থিতির অবসান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

এই মন্তব্যের পরেই বিশ্ব বাজারের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে, হংকং এবং জাপানের শেয়ার বাজারে উল্লেখযোগ্য উত্থান হয়েছে।

অন্যদিকে, চীনও এই বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে তা হতে হবে পারস্পরিক সম্মান এবং সমতার ভিত্তিতে।

বেইজিং জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা করতে চায়, তবে আলোচনা হতে হবে সম্মানের সঙ্গে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে আরো বেশি সুসংগত ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রত্যাশা করে তারা।

এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য কিছু সুযোগ তৈরি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হলে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজতে পারে।

আবার, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়লে, স্থানীয় বাজারে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে।

তবে, বাণিজ্য যুদ্ধের কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এছাড়া, বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়লে, তা সরাসরি দেশের সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলবে।

অতএব, মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সরকার এবং সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকদের এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং দেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাণিজ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশের উচিত হবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *