চমক! চীনকে বাগে এনে ট্রাম্পের জয়, কিভাবে?

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল।

আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এমন এক পদক্ষেপের মাধ্যমে অবশেষে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এর পেছনে ছিল একটি সুপরিকল্পিত কৌশল।

মূলত, উচ্চহারে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।

আলোচনার ফলস্বরূপ, উভয় দেশই তাদের শুল্কের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপের পেছনে ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা, যেখানে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুল্কের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মূলত, এই কৌশলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করার চেষ্টা করা হয়।

এই আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জ্যামিসন গ্রিয়ার। তাদের নেতৃত্বকে বাজারের খেলোয়াড় এবং চীনা কর্মকর্তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হতো।

ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ছোট আকারের চুক্তির মাধ্যমে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করার পথ খুলে যায়। কূটনীতিকদের মতে, এটি ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি মডেল, যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পৃথক চুক্তি করতে চেয়েছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের উপদেষ্টারা মনে করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার আগ্রহ এবং সমঝোতার মানসিকতা আগামী তিন মাসে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। যদিও এর চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

তবে, অনেকের মতে, এই পরিস্থিতি উভয় দেশের জন্যই একটি বড় স্বস্তি এনেছে।

শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ বেগ পেতে হয়। ট্রাম্পের উপদেষ্টারা বারবার বলেছেন যে, এটি ছিল একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনার অংশ।

যদিও বাস্তবে দেখা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য ছিল, বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি উপযুক্ত অবস্থানে আসা।

পরিশেষে, ট্রাম্প প্রশাসন একটি কৌশল তৈরি করতে সক্ষম হয়, যার মাধ্যমে তারা উচ্চহারে শুল্ক বহাল রেখেও বাণিজ্য চুক্তি করতে সক্ষম হয়। বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে যে ১০ শতাংশ শুল্কের হার বহাল রয়েছে, তা কার্যত একটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাম্পের মতে, বাণিজ্য তার কাছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। তার এই কৌশল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতেও সহায়তা করেছে বলে তিনি মনে করেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্পের এই বাণিজ্য কৌশল ছিল অপ্রত্যাশিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *