যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, টেলিভিশন তারকা টড ও জুলি ক্রিসলিকে ক্ষমা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানা গেছে, ব্যাংক জালিয়াতি এবং কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই তিনি এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন।
খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
২০২২ সালে, ক্রিসলি দম্পতিকে আটলান্টা অঞ্চলের ব্যাংক থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এছাড়া, তারা বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য তাদের আয়ের হিসাব গোপন করে কর ফাঁকি দিয়েছিলেন।
জানা যায়, তারা এই অর্থ ব্যবহার করে দামি গাড়ি, ডিজাইনার পোশাক, এবং ভ্রমণের মত বিলাসিতা উপভোগ করতেন।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, টড ক্রিসলি দেউলিয়া হওয়ার ঘোষণা করার পর ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব থেকে সরে এসেছিলেন। এই ঘটনায় জুলি ক্রিসলিকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং টড ক্রিসলিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও, তাদের ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই ক্ষমা ঘোষণার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। এটি সম্ভবত আগামীকালের মধ্যেই সম্পন্ন হতে পারে।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের পরিচিত একটি ধারাকে অনুসরণ করে। অতীতেও তিনি তার বন্ধু, সমর্থক এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছেন।
এর আগে, তিনি সাবেক ভার্জিনিয়ার শেরিফ স্কট জেনকিন্সকে ক্ষমা করেছিলেন, যিনি জালিয়াতি এবং ঘুষের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।
ক্রিসলি দম্পতির আইনজীবী অ্যালেক্স লিটল এই ক্ষমার বিষয়ে বলেছেন, এর মাধ্যমে একটি গভীর অবিচার সংশোধন করা হবে এবং এই দম্পতি তাদের পরিবার ও সমাজে ফিরে আসতে পারবেন।
তিনি আরও যোগ করেন, ট্রাম্প শুরু থেকেই এই বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন যে, রক্ষণশীল মূল্যবোধ ও পরিচিতির কারণে টড ও জুলি ক্রিসলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
ক্রিসলি পরিবার ‘ক্রিসলি নোজ বেস্ট’ নামের একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-এর মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করে। তাদের মেয়ে সাভানাহ ক্রিসলি এর আগে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে তার বাবা-মায়ের কারাবাস নিয়ে কথা বলেছিলেন।
তিনি তাদের “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার” বলেও মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ধরনের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতা অনেকটা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমা প্রদর্শনের মতই।
তবে, উভয় দেশের আইনি কাঠামো ও ক্ষমতাবলে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস