ট্রাম্পের সাবেক প্রসিকিউটর: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে অভিযুক্ত!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রাক্তন এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বিরুদ্ধে আনা একটি মামলার কারণে বেশ আলোচনা চলছে। এই মামলার প্রধান আইনজীবী হলেন লিন্ডসে হ্যালিগান।

তিনি এক সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, কিন্তু এখন তিনিই এই মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এই ঘটনাটি অনেককে হতবাক করেছে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি একসময় কোমিকে বরখাস্ত করেছিলেন, তিনি এখন তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিচারের জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানাচ্ছেন।

ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্যের পরেই হ্যালিগানের এই পদক্ষেপ বেশ সমালোচিত হচ্ছে।

জানা গেছে, হ্যালিগান একসময় বিচার বিভাগের রাজনৈতিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হওয়া তদন্তগুলোকে ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।

এমনকি, ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে ট্রাম্পের বাসভবনে এফবিআই-এর অনুসন্ধানের তীব্র সমালোচনা করে একে ‘স্বৈরাচারের প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন।

মার্কিন বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এই বিচার বিভাগ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কাজ করবে এবং যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

তবে, হ্যালিগানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় এবং এটি নতুন তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।

অন্যদিকে, হ্যালিগানের অতীত কর্মকাণ্ডও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ট্রাম্পের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সময় তিনি রাজনৈতিক বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এমনকি, তিনি স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরের প্রদর্শনীগুলোতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন বলেও জানা যায়।

এই জাদুঘরের কিছু প্রদর্শনীতে তিনি আমেরিকান ইতিহাসকে ‘নकारात्मकভাবে’ উপস্থাপিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলার প্রেক্ষাপট এবং হ্যালিগানের অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। তারা মনে করেন, এই মামলার মাধ্যমে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *