আতঙ্কে শহর! ডি.সি. তে ট্রাম্পের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি-তে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে।

খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসি-তে অপরাধ দমনের জন্য ফেডারেল কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর প্রায় ১৩০ জন এজেন্টকে স্থানীয় পুলিশের সাথে টহল দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হতে পারে। তাঁদের প্রধান কাজ হবে শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল দেওয়া এবং গাড়ি চুরির মামলার তদন্তে সহায়তা করা। যদিও এফবিআই এজেন্টদের সাধারণত স্থানীয় পুলিশের সাথে এভাবে কাজ করতে দেখা যায় না।

ট্রাম্প এর আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি ওয়াশিংটন ডিসিকে আরও নিরাপদ ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে চান। তিনি শহরের “বেকার ও আশ্রয়হীন” মানুষজনকে শহর ছাড়তে বলেছেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শহরে অপরাধের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়েনি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ন্যাশনাল গার্ড প্রেসিডেন্টের অধীনে কাজ করে এবং তাঁর সঙ্গে শহরের উন্নয়নে তাঁদের ‘কিছুটা মিল’ রয়েছে। বাউসার ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশা প্রকাশ করেছেন।

মেয়রের এই ধরনের নরম মনোভাব ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাউসার সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা গিয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” আন্দোলনের সমর্থনে হোয়াইট হাউসের সামনে একটি রাস্তা রঙ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাউসার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাউসার এখন ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইছেন, কারণ তিনি মনে করেন, ফেডারেল কর্মকর্তাদের মোতায়েন করার বিরোধিতা করলে তা শহরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ট্রাম্প এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসি-তে ফেডারেল হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি শহরটিকে “আইন ও শৃঙ্খলা” রক্ষার অধীনে আনার কথা বলেছিলেন। সম্প্রতি, শহরের একজন সরকারি কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনার পর তিনি আবার এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।

যদি ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নেন, তাহলে তিনি শহরের পুলিশ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন এবং ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে পারেন। তবে, এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য তাকে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *