মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী এড মার্টিনকে নিয়ে সিনেটে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর হিসেবে মার্টিনের নিয়োগের সম্ভাবনা বর্তমানে ঝুঁকির মুখে।
রিপাবলিকান সিনেটরদের মধ্যে অনেকেই মার্টিনের অতীত মন্তব্য এবং কাজের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা এই বিষয়ে আলোচনার জন্য মিলিত হয়েছিলেন। তাদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হলো, ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মার্টিনের করা কিছু বিতর্কিত মন্তব্য।
তিনি ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সমালোচনা করেছিলেন। এই ধরনের মন্তব্য এবং অতীতের কার্যকলাপের কারণে অনেক রিপাবলিকান সিনেটর মার্টিনের মনোনয়নকে সমর্থন করতে দ্বিধা বোধ করছেন।
এমনকি কয়েকজন সিনেটর এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানির আয়োজন করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
নর্থ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস সিএনএনকে জানিয়েছেন, মার্টিনের মনোনয়ন নিয়ে তার গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, মার্টিনের মন্তব্যগুলো বিবেচনা করে তার চূড়ান্ত অবস্থান নিতে সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, মার্টিন যদি অন্য কোনো এলাকার জন্য মনোনীত হতেন, তাহলে টিলিসের সমর্থন পাওয়া সহজ হতো।
অন্যদিকে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর জন করনিন মার্টিনকে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।
একইসঙ্গে, সাউথ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম জানিয়েছেন, মার্টিনের জমা দেওয়া নথিতে কিছু তথ্য গোপন করা হয়েছে।
এদিকে, মার্টিন অতীতে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি সিনেটর লিসা মারকোওস্কিকে ‘ভণ্ড’ এবং সিনেটর সুসান কলিন্সকে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ায় সমালোচনা করেছিলেন।
এমনকি কেন্টাকির সিনেটর মিচ ম্যাককনেলের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
মার্টিনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারির ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন আসামীর আইনজীবী হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও, তিনি ঐ দিনের ঘটনায় আহত পুলিশ অফিসারদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।
বর্তমানে, সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান, চাক গ্রাসলি জানিয়েছেন, মার্টিনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনো ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) থেকে পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন