মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বিস্ফোরক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগটি ছিল, চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক তাকে একটি ব্রিফিং করেছিলেন।
তবে ট্রাম্প সরাসরি এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা না গেলেও, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্ক যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ সংবেদনশীল, ঠিক সেই সময়ে এমন একটি খবর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে তাইওয়ান সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা প্রায়ই দেখা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে, যদি সত্যিই কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে, তবে তা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনাগুলো ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাণিজ্য এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে।
তাই, দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। খবরটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এর পেছনের কারণ উদ্ঘাটনে অনুসন্ধানী কার্যক্রম চলছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা