ট্রাম্পের বিতাড়ন: বাড়ছে জনগণের অসন্তোষ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি এখন বেশ সমালোচিত হচ্ছে, এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায়। ট্রাম্প প্রশাসনের জোরপূর্বক অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপগুলো সম্ভবত প্রত্যাশিত ফল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, অভিবাসন প্রশ্নে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় এই ইস্যুকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নিয়ে কঠোর পদক্ষেপগুলো জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে। এমনকি রিপাবলিকান দলের অনেক সমর্থকের মধ্যেও এর প্রভাব পড়েছে।

সাম্প্রতিক এক গ্যালাপ পোল অনুযায়ী, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ৬২ শতাংশ আমেরিকান সমর্থন করেন না। যেখানে মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে মত দিয়েছেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ ট্রাম্পের নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন, যেখানে মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া, স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ট্রাম্পের নীতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এই পরিস্থিতি ট্রাম্পের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ, সীমান্ত পারাপার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসার পরও, অভিবাসন নিয়ে তার জনপ্রিয়তা কমছে। এর মূল কারণ হতে পারে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) বিভাগের কঠোর পদক্ষেপগুলো।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পক্ষে জনসমর্থনও কমেছে। যেখানে গত বছর, অর্থাৎ নির্বাচনের সময়, এই মতের পক্ষে ছিলেন ৪৭ শতাংশ মানুষ, সেখানে বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে।

গ্যালাপের তথ্য অনুযায়ী, একবিংশ শতাব্দীতে অভিবাসীদের প্রতি সহানুভূতিও বেড়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় ধাক্কা। বর্তমানে, প্রায় ৭৯ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, অভিবাসন একটি ভালো বিষয়, যেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬৪ শতাংশ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে জনমতের পরিবর্তনগুলো বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সম্ভবত এমন একটি নীতির ওপর জোর দিয়েছেন, যা তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি মজবুত করতে পারে, কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, হোয়াইট হাউজকে তাদের কৌশল পর্যালোচনা করতে হতে পারে, কারণ তাদের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্ভবত প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *