আতঙ্ক! বিত’র্কিত বিতাড়ন ফ্লাইট: মুহূর্তের মধ্যে কিভাবে সব ওলট-পালট?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক: আদালতের নির্দেশের পরেও বিতাড়ন প্রক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং বহিরাগতদের বিতাড়ন নিয়ে আবারও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে ভেনেজুয়েলার একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকশ’ মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর, আদালতের হস্তক্ষেপে এই বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও, বিতর্ক যেন সহজে থামছে না।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ট্রাম্প প্রশাসন, ‘এলিযেন এনিমিজ অ্যাক্ট’ (Alien Enemies Act) ব্যবহার করে, যুদ্ধকালীন ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া শুরু করে। এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক মামলার শুনানিতে বিচারক জেমস বোয়াজবার্গ (James Boasberg) বিতাড়ন প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশ দেন।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিতাড়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী জানা যায়, টেক্সাসের হারলিংজেন (Harlingen) থেকে দুটি ফ্লাইট রওনা হয়।

এর কিছুক্ষণ পরেই বিচারক মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন, বিতাড়ন কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং উড়োজাহাজগুলো যেন ফেরত আনা হয়।

বিচারকের মৌখিক নির্দেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রথম ফ্লাইটটি হন্ডুরাসের কোমায়াগুয়ায় (Comayagua) অবতরণ করে। দ্বিতীয় ফ্লাইটটি টেকুসিগালপায় (Tegucigalpa) পৌঁছায়।

এরপর, আদালতের লিখিত আদেশ আসে, যেখানে বিতাড়ন বন্ধের নির্দেশ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার ধারাবাহিকতায় দেখা যায়, বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরও, কিছু ফ্লাইট তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যায়। মার্কিন বিচার বিভাগ পরে জানায় যে, আদালতের লিখিত আদেশ আসার আগেই কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে বিতাড়ন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় একদিকে যেমন বিচার বিভাগের ক্ষমতা এবং সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি অভিবাসন বিষয়ক নীতি নিয়েও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

‘এলিযেন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর প্রয়োগ এবং এর আইনি বৈধতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *